কলকাতার অনেক হাসপাতালে সম্প্রতি চালু হয়েছে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। এতে কোন হাসপাতালে বেড রয়েছে, সহজেই তা জানা যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক করে কাজ করছে না তা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা বেহাল। রোগী পরিষেবা নিয়ে দানা বাঁধছে অসন্তোষ। সম্প্রতিই গাফিলতির কারণে রোগীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এসএসকেএম হাসপাতালে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মেলেনি কোনও ফল। ফলে বিক্ষোভ ছড়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে।
সূত্র মারফত খবর, ১ নভেম্বর তারিখে এক ব্যক্তিকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। কিন্তু তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। পরিবারের দাবি, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানায় যে হাসপাতালে বেড নেই, ফলে ভর্তি নেওয়া যাবে না। এসএসকেএম থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁদের। এর পর তাঁরা যান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেও ভর্তি নেওয়া হয় না।
পরদিন রোগীর আত্মীয়রা তাঁকে নিয়েই চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাঁর কাছ থেকে ভর্তির সুপারিশের চিঠি নিয়ে ফের এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু লাভ হয়নি কোনও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কোমায় চলে যান রোগী এবং মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনায় বিক্ষোভ জানিয়েছেন রোগীর পরিবার। কেন সময়ে ভর্তি নেওয়া হয়নি, এই নিয়ে অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীকে আউটডোরে জেনারেল সার্জারির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতাল আবার খবরের শিরোনামে এসেছিল বেডসমস্যায়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে রেফার করা হয়েছিল এসএসকেএম-এ। কিন্তু মেলেনি বেড। সারা রাত তাঁকে কাটাতে হয় স্ট্রেচারে। এই নিয়ে অসন্তোষজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।