• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ঝরিয়ার কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কল্পনা সোরেনের বিশাল জনসভা

জর্জর রাস্তা ঘাট তৈরি করালো। মাত্র তিনবছর হাতে সময় পেয়ে পূর্ণিমা দিন রাত বিকাশের কাজ করে গিয়েছে। প্রতিটি মহুর্তে গরিব অসহায় পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার আপনারা বলুন কাকে ভোট দেবেন। উল্লসিত জনতা চিৎকার করে বলেন, পূর্ণিমা নীরজ সিংহকে।

ভোট প্রচারে কল্পনা সোরেন। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে আগামী ২০ নভেম্বর ধানবাদ জেলার ৬টি বিধানসভা নির্বাচন হবে। ফলে জোর কদমে শুরু হয়েছে প্রচার প্রসার। প্রার্থীদের সমর্থনে হেভি ওয়েট নেতাদের চলছে বিভিন্ন জায়গায় জনসভা। ইন্ডিয়ার সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী সহ ঝরিয়ার বিধায়ক পূর্ণিমা নীরজ সিংহের সমর্থনে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী সহ বিধায়ক কল্পনা সোরেন ঝরিয়াতে এক বিশাল জনসভা করে ভোট চাইল। ধানবাদের বুকে প্রকাশ্যে গুলি করে বিধায়ক পূর্ণিমা নীরজ সিংহের স্বামী নীরজ সিংহকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত হিসেবে তাঁরই খুড়তুতো ভাই সঞ্জীব সিংহ জেলে বন্দি।

মামলা আদালতে বিচারাধীন। তাঁরই স্ত্রী এই কেন্দ্রে পূর্ণিমা নীরজ সিংহের প্রতিদ্বন্দ্বী করছে বিজেপির প্রার্থী হয়ে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে স্টার প্রচারক বিধায়ক কল্পনা সোরেন বিরোধীদের তুলোধোনা করেন। কল্পনা সোরেন বলেন, ঝরিয়াকে বিক্রি করে পেট ভরার সব মানুষগুলো এক হয়ে গিয়েছে। হার ঝরিয়াকে এদের হাত থেকে যদি কেউ বাঁচাতে আসে তাহলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেওয়া হবে। যেমন নীরজ সিংহের ক্ষেত্রে ঘটেছে। তাঁর স্ত্রী ঝরিয়ার প্রার্থী পূর্ণিমা নীরজ সিংহ ঘর বাঁধার জন্য বহু স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসেছিল। কিন্তু বিরোধীরা তাঁর স্বামী নীরজ সিংহকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে পূর্ণিমার সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ঝরিয়াকে খালি করার জন্য বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছিল। পূর্ণিমার কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিবাদে তা বন্ধ হয়েছে। ঝরিয়াতে পুনরায় আরএসপি কলেজকে স্থাপনা করল পূর্ণিমা। জর্জর রাস্তা ঘাট তৈরি করালো। মাত্র তিনবছর হাতে সময় পেয়ে পূর্ণিমা দিন রাত বিকাশের কাজ করে গিয়েছে। প্রতিটি মহুর্তে গরিব অসহায় পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার আপনারা বলুন কাকে ভোট দেবেন। উল্লসিত জনতা চিৎকার করে বলেন, পূর্ণিমা নীরজ সিংহকে। কল্পনা সোরেন নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধোনা করে। আজকের জনসভার সভাপতিত্ব করেন অভিষেক সিংহ। মঞ্চে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।