আবারও অনিশ্চয়তায় মেঘ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানিতে।
বুধবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হল না আদালতে। ফলে, এ বছর তিনি আদৌ জামিন পাবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কবে জামিনের আবেদনের শুনানি হবে, তা আগামী ২২ নভেম্বর পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে আদালত।
এদিন বিশেষ সিবিআই আদালতে পার্থর জামিনের মামলার শুনানির শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইডির বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি চান তাঁরা। এর পরই স্থগিত হয়ে যায় শুনানি।
এদিন বিশেষ সিবিআই আদালতে সিবিআইয়ের করা মামলায় বিচারক পার্থ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি পিএমএলএ আদালতে বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে চলছে। সেখানে ইডির করা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানিও চলছে। সেজন্য তাঁরা এটাই চান যে, এই জামিনের আবেদনের শুনানিও একই সঙ্গে হোক।’
একথা শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলার শুনানি স্থগিত করে দেন বিচারক। তিনি জানান, আগে কোন এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে, তা সাব্যস্ত হবে। তার পর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। ২২ নভেম্বর এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
প্রকৃতপক্ষে ইডি চাইছে যে, প্রাথমিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলা ইডি বিশেষ আদালতে শুনানি হোক। অর্থাৎ একজন বিচারকই দুর্নীতি মামলার শুনানি করুন। এদিন বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। ইডির আবেদনের কথা মাথায় রেখে এই যুক্তিতে এদিন তাঁর জামিন মামলার শুনানি হল না।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে জোরালো তথ্য-প্রমাণ পেশ করতে তৎপর সিবিআই। বিচারকের কাছে সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি করানোর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ২০২১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। শারীরিক অসুস্থতাও বাড়ছে। আর বার বার এই যুক্তিতেই তাঁর জামিন পেতে তৎপর আইনজীবীরা। কিন্তু দুই তদন্তকারী সংস্থার টানাপোড়েনে তাঁর জামিন মামলা ক্রমশ পিছিয়েই যাচ্ছে।
