ক্রিপ্টো ট্রেডারদের জন্য সুখবর! বাড়তে চলেছে বিটকয়েনের দাম। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরে, বিটকয়েন প্রতি দাম ছুঁতে পারে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার! এমনটাই জানাল আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা ডিভিয়ার গ্রুপ।
ডিভিয়ার গ্রুপের সিইও নাইজেল গ্রিনের বক্তব্য, ‘২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে বিটকয়েনের দাম ১ লক্ষ মার্কিন ডলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
মঙ্গলবার প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিল আন্দাজ ৮৭,৮৮০ মার্কিন ডলার। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর থেকে বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। গত বছরের এই তারিখের তুলনায় (ইয়ার-টু-ডেট) বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৯৩ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতেই ডিভিয়ার গ্রুপের সিইওর এই ‘বুলিশ’ মন্তব্য।
গ্রিন আরও জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসনে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম আরও বাড়তে পারে। ট্রাম্পের ক্রিপ্টোবান্ধব নীতি বিটকয়েন-সহ পুরো ডিজিটাল অ্যাসেট মার্কেটের ভোল বদলে দেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।’
গ্রিনের মতে, বিটকয়েনের পথ চলা থেকে শুরু করে, এত তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত বিটকয়েনের জন্য এর আগে আর আসেনি। বিশেষ করে যেখানে অর্থনৈতিক নানা নীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা চিন্তাজনক, ডলারের দাম কমছে- সেখানে বিটকয়েন ‘হেজ’ হিসেবে কাজ করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির ফলে ক্রয়ক্ষমতাও কমছে গ্রাহকদের। এই পরিস্থিতিতে বিটকয়েনে লগ্নি করলে গ্রাহকদের আর্থিক স্বার্থ সুরক্ষিত হতে পারেই বলে তাঁর ধারণা।
ট্রাম্প প্রশাসন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, তারা ক্রিপ্টোকে গঠনমূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। বিটকয়েনকে ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেট ক্লাস’-এ উন্নীত করাই বর্তমানে ট্রাম্পের লক্ষ্য, যা সমান্তরাল অর্থনীতি বা বিশ্বজোড়া ‘ক্যাশলেস’ অর্থনীতির জন্য খুলে দিতে পারে নতুন দিগন্ত।
ভারতীয় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সংস্থা জেবপে-এর সিইও রাজ কারকারা জানিয়েছেন, ‘লগ্নিকারীরা যত বিটকয়েনের দিকে ঝুঁকবেন, ততই ভালো- তাতে বিটকয়েনের বাজার সুদৃঢ় হবে।’ এসবের থেকে আন্দাজ করাই যায়, ভবিষ্যৎটা দখল করবে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিই।