নিজ প্রতিশ্রুতিতে অনড় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বজবজের মুচিশার লক্ষ্মীবালা দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং তৎপরতায় এবার শুরু হলো অপারেশন থিয়েটারের নির্মাণ কার্য। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্ট মাসেই এর অনুমোদন কার্য সম্পন্ন করেছিলেন তৃণমূল সেনাপতি, এবার শুরু হলো অপারেশন থিয়েটার তৈরির কাজ। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি অভিষেকের উদ্যোগে ওই হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে সিইএমওসি সেন্টারও। উল্লেখ্য, বজবজ, সাতগাছিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভরশীল এই গ্রামীণ হাসপাতালের উপর। মূলত গর্ভবতীদের সন্তান প্রসবের সময় সিজার করার ক্ষেত্রে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মুচিশার এই হাসপাতালে আগত রোগীকে রেফার করা হতো বিদ্যাসাগর হাসপাতাল অথবা বাঙ্গুর হাসপাতালে। এমনকি একাধিক প্রসূতি পথেই সন্তান প্রসব করেছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। নির্দিষ্ট সমস্যা শ্রুতিগোচর হতেই তৎপর হন অভিষেক এবং লক্ষ্মীবালা দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ৬ কোটি ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই অপারেশন থিয়েটার।
এ প্রসঙ্গে বজবজ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দোপাধ্যায় জানান, ‘জনসাধারণের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। এমন একাধিক বার হয়েছে কোনো প্রসূতি নিজ সন্তান হারিয়েছেন অথবা সন্তান প্রসবের পূর্বেই প্রসূতি মারা গিয়েছেন। এই সমস্যার কথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। তিনি আপামর বজবজ, ফলতাবাসীর জন্য এর অনুমোদন করেছেন, এমনকি হাসপাতালের অন্দরে অপারেশন থিয়েটার নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।’ বজবজ ২ -এর এক স্থানীয় বাসিন্দার ভাষায়, ‘সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে অনেক ধন্যবাদ। বুচান বন্দোপাধ্যায় আমাদের সমস্যার বিষয়টি সাংসদকে জানাবেন কথা দিয়েছিলেন। আমরা আশা রেখেছিলাম, কাজ হবে। আশা পূর্ণ হলো, সাংসদ আমাদের সমস্যা শুনে দ্রুত এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’ কেবল অপারেশন থিয়েটার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে তাই নয়, কাজের গতি খতিয়ে দেখেছেন প্রশাসনিক কর্তারাও। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই অপারেশন থিয়েটার চালু হয়ে যাবে বলেই আশ্বাস প্রশাসনিক কর্তাদের। জোরকদমে চলছে কাজ, দ্রুত এর সুবিধা পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন স্থানীয়রা। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ডায়মন্ড হারবারের প্রত্যেক কোনায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’ সাংসদ হিসাবে অভিষেকের সুদীর্ঘ বছরের কর্মে এবং প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রেখেই মানুষ তাঁকে বিপুল মার্জিনে তৃতীয়বার জয়ের মুকুট পরিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই নিজ চোখের চিকিৎসায় মনোনিবেশ করেছিলেন যুবরাজ, পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশেও। তবে অভিষেকের অনুপস্থিতিতে থেমে থাকেনি তাঁর সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের কাজ। দূরে থেকে অসুস্থতাকে সঙ্গী করেই তাঁর সংসদীয় এলাকার প্রতিটি অসমাপ্ত কাজের তদারকি করেছেন অভিষেক, তারই উল্লেখযোগ্য উদাহরণ লক্ষ্মীবালা দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার নির্মাণ কার্যের গতি।