• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

আনোয়ার ইস্যুতে ক্ষতিপূরণের টাকার অঙ্ক বেড়েই চলেছে

একজন প্রাক্তন বিচারপতি আপাতত রয়েছেন এই কমিটির শীর্ষে। তাঁর উপস্থিতিতেই এদিন শুনানিতে যোগ দিয়েছিল সব পক্ষ। সেখানেই আনোয়ারের দলবদলের ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৩০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে মোহনবাগানের তরফে।

আনোয়ার আলি। ফাইল চিত্র

আনোয়ার আলিকে নিয়ে বিতর্ক কোনওভাবেই শেষ হচ্ছে না। একের পর এক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসার পরেই নানারকম সমস্যা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশন সাময়িকভাবে স্বস্তি দিলে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলায় অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আবার নতুন করে মোহনবাগান আনোয়ার আলির ব্যাপারে নড়েচড়ে বসল। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। তারপরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২২ কোটিতে। আর এবারে ৩০ কোটি টাকা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দেওয়া হল। আনোয়ার ইস্যুতে শুনানিতে বসেছিল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের এক রায়ে ফেডারেশনের যাবতীয় কমিটি এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপরই তড়িঘড়ি বদল করা হয়েছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির চেয়ারম্যানকে।

একজন প্রাক্তন বিচারপতি আপাতত রয়েছেন এই কমিটির শীর্ষে। তাঁর উপস্থিতিতেই এদিন শুনানিতে যোগ দিয়েছিল সব পক্ষ। সেখানেই আনোয়ারের দলবদলের ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৩০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে মোহনবাগানের তরফে। যা নিয়ে এদিনের শুনানিতে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতণ্ডা চলেছে। তবে এদিনও বিষয়টি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। বরং ঠিক হয়েছে, ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। এর আগে এই ইস্যুতে আনোয়ারকে চার মাসের নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছিল প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। পাশাপাশি দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলকে দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডো ব্যান করা হয়। এছাড়া সবমিলিয়ে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ মোহনবাগানকে দিতে হবে বলেও জানানো হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে যান আনোয়াররা। আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি শুরু করে ফেডারেশেনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি।

তবে এদিন প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শুনানিতে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল। কারণ আইএসএলে তাদের পরবর্তী ম্যাচ ২৯ নভেম্বর, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ খেলতে কোনও সমস্যা থাকল না আনোয়ারের। এমনিতেই শনিবার মহামেডানের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখায় নর্থ-ইস্ট ম্যাচে নন্দকুমার এবং মহেশ সিংকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। তার উপর আনোয়ার না থাকলে আলাদিন আজারে, পার্থিব গগৈদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ত লিগ টেবলের শেষে থাকা লাল-হলুদ শিবিরের। আপাতত সেই ম্যাচে তারকা ডিফেন্ডারকে পাবে ইস্টবেঙ্গল। মহামেডানের সঙ্গে ড্র করার পর রবিবার থেকে ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজো।

ক্লেটন সিলভা ছাড়া বাকি বিদেশি ও ভারতীয় ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই কলকাতা ছেড়েছেন। ১৬ নভেম্বরের পর ফের প্র্যাকটিস শুরু হবে ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে ফিরতে আরও দু’একদিন সময় লাগতে পারে। আনোয়ার এবং জিকসন সিং জাতীয় দলের ম্যাচ খেলে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো খেলোয়াড়দের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে দলের অবস্থা বদলে যায়। খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরে। যার ফলে তার প্রতিফলন পড়ে দলের মধ্যে। আর তখনই বিপক্ষ দলের সঙ্গে লড়তে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। আসলে নাওরেম মহেশ সিং মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে খেলার দিন মাঠের মধ্যে যে আচরণ করেছেন, তাতে কোনওভাবেই সমর্থন জানাননি কোচ এবং ক্লাবকর্মকর্তারা।