ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আরো এক দুর্নীতি সামনে এলো । দুর্নীতি বন্ধ করে জমির স্বত্ত্ব পাওয়ার দাবিতে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন খড়গপুর শহরের ২৪ নং ওয়ার্ডের তেল মিল এলাকার বাসিন্দারা।
২৪ নং ওয়ার্ডে বিশ্বজননী তেল মিলের ১ একর ৬২ ডেসিমেল জমি ছিল। এই জমির মধ্যে ১ একর দশ ডেসিমেল ছিল পুকুর ও পুকুরপাড় । বাকি ৫২ ডেসিমেল ছিল রায়ত। বিশ্বজননী তেলমিলের মালিক ১ একর ১০ ডেসিমেল জমি তারাপদ দে’র ছেলে অনুপ দে ও স্ত্রী কল্পনা দে’কে বিক্রি করে দেন। অনুপ এবং কল্পনা দেবীর কাছ থেকে জমি কিনে নেন তৌসিফ রউফ নামে এক ব্যক্তি। তৌসিফ রউফ একজন প্রোমোটার। তিনি এক একর দশ ডেসিমেল জমির উপরে তিনটি জি প্লাস ফাইভ বহুতল তৈরি করেন । এই জমির আর এস দাগ নং ২৩৩, ২৩৪ ,২৩৫ ,২৩৬ ,২৩৭, ২৩৮ ,২৩৯ অর্থাৎ মোট আটটি । বাকি ৫২ ডেসিমেল জমির আর এস দাগ নং ২৩২, ২৪০ ,২৪১ ও ২৪৩ । এই ৫২ ডেসিমেল জমির ক্রেতা ১২ জন। এই ক্রেতাদের অন্যতম নিখিল সিনহা জানান, আর এস থেকে এল আর করার সময় পুরো এক একর ৬২ ডেসিমেল জমির এল আর নম্বর ১১২৮ করা হয় এবং জমিটি ৬/৩ ধারায় লিজভুক্ত বলে দেখানো হয়।
নিখিলবাবু বলেন, আমরা জমির মিউটেশন করিয়ে নিয়েছিলাম। রেকর্ড এর জন্য আবেদন জানানোর পরেই জানতে পারি জমিটি সরকারি লিজভুক্ত দেখানো হয়েছে। ৬/৩ ধারায় লিজভুক্ত জমি সরকারি আদেশনামা ছাড়া বিক্রয় করা যায় না । কিন্তু আমাদের জমি লিজভুক্ত নয় । এটা সম্পূর্ণ রায়ত। তাই আমরা এরপরেই আমরা আমাদের জমি সরকারি লিজভুক্ত বলে যে কাগজ তৈরি করা হয়েছে তা বাতিল করে জমি আমাদের নামে রেকর্ড করার জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে চাপ দিই। কিন্তু শুধু কথায় চিড়ে না ভেজায় আমরা আজকে বিএলএলআরওকে ঘেরাও করি। আপাতত পুরো জমি বিশ্বজননী তেলমিলের নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে বারংবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।