• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

পুতিনকে ফোন করে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানালেন ট্রাম্প

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা করেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউরোপীয় মহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথোপকথন হয় গত বৃহস্পতিবার, তখনও আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে আসেনি। রিপোর্টে দাবি, পুতিনকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানান ট্রাম্প। তিনি মনে করিয়ে দেন আমেরিকার ‘শক্তি’র কথাও। ইউরোপে মজুত রয়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী সে কথাও মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প।   

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা করেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউরোপীয় মহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথোপকথন হয় গত বৃহস্পতিবার, তখনও আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে আসেনি। রিপোর্টে দাবি, পুতিনকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানান ট্রাম্প। তিনি মনে করিয়ে দেন আমেরিকার ‘শক্তি’র কথাও। ইউরোপে মজুত রয়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী সে কথাও মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প।   

একদিকে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। অন্যদিকে যুদ্ধ চলছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় মহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে আবেদন রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাঁদের । মার্কিন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্লোরিডার বাসভবনে বসেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রুশ প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন তিনি।  সূত্রের খবর, তাঁদের কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং  তার সঙ্গে যুক্ত নানা জটিলতা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি আলোচনায় বসার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন বলে খবর।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করতে আগ্রহী ট্রাম্প, তা নির্বাচনের আগেই জানা গিয়েছিল।  ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান,  বাইডেন প্রশাসনের মতো ট্রাম্প কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা করবেন না। বরং তিনি যুদ্ধ থামাতে বেশি আগ্রহী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছর  ধরে চলা এই যুদ্ধ এবার বন্ধ হতে পারে বলেও অনেকে আশা প্রকাশ করছেন। 

এরই মধ্যে গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়। সূত্রের খবর, আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কও সেই ফোনে যোগ দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করার এবং সহযোগিতা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প।

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বারের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিষেক হবে ট্রাম্পের। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সরকার অবশ্য জানিয়েছে, ২০ তারিখের আগে ইউক্রেনে যথাসম্ভব সাহায্য পাঠাবে হোয়াইট হাউস। তার পর পূর্ব ইউরোপের এই সমস্যা নিয়ে ট্রাম্প সরকার কোন পথে এগোবে, তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলল পুতিনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগে।

এক প্রাক্তন শীর্ষ মার্কিন আধিকারিকের দাবি, দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইউক্রেন সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প ৷ তিনি চান না, এই মুহূর্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে সমস্যা আরও বেড়ে উঠুক ৷ সেই কারণে, যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব রকমের চেষ্টা করছেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ৷