• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

আরজি কর হস্টেল থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত নার্সিং পড়ুয়া

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টালা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে আহত ছাত্রীর রুমমেট ও অন্য বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। জিএনএম নার্সিং কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়েছে।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

আরজি কর মেডিক্যালের হস্টেলের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক নার্সিং পড়ুয়াকে। শনিবার মধ্যরাতে নার্সিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই পড়ুয়াকে উদ্ধার করেন তাঁর সহপাঠীরা। বর্তমানে আরজি করেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

আহত ছাত্রীর নাম বুল্টি গড়াই। তিনি পুরুলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সহপাঠীদের দাবি, রুমমেটের সঙ্গে ঘরের লাইট নেভানোকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য চলছিল তাঁর। শনিবার রাতেও দুজনের মধ্যে এ বিষয়ে বচসা হয়। লাইট নিয়ে সমস্যার কারণে তিনি রাতে পড়াশোনা করতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়টি তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদেই দোষারোপ করে বলে দাবি করা হয়। এই সব নিয়েই অবসাদে ভুগছিলেন বুল্টি। এর জেরে তিনি এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। হস্টেলের পড়ুয়াদের অন্য একটি অংশের দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন ওই ছাত্রী।

হাসাপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় হস্টেলের ঘরে একাই ছিলেন নার্সিং পড়ুয়া। যে রুমমেটের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বলে দাবি করা হচ্ছে তিনিও সেই সময় রুমে ছিলেন না। পাশের ঘরে অন্য পড়ুয়ারা গল্প করছিলেন। বিষয়টি তাঁরাই প্রথম বুঝতে পারে। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যান সহপাঠীরা।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টালা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে আহত ছাত্রীর রুমমেট ও অন্য বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। জিএনএম নার্সিং কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়েছে।

৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে এই হাসপাতালের নাম। এই ইস্যুতে এখনও চলছে আন্দোলন। এই আবহে ফের শিরোনামে উঠে এল আরজি কর হাসপাতালের নাম।