• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সুকান্ত মজুমদারকে শোকজের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল

এটা বিজেপির একটি 'প্রপোগান্ডা' ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁরা নির্বাচনী কেন্দ্রে এই ধরণের বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে হিংসাত্মক করে তুলতে চাইছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শোকজের দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল শনিবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই লিখিত আবেদন জানিয়েছে। এব্যাপারে রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে তৃণমূল অভিযোগে জানিয়েছে, ‘আমরা দেখেছি যে, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গত ৭ নভেম্বর তালডাংরার নির্বাচনী এলাকায় মিথ্যা, অবমাননাকর এবং মানহানিকর বক্তৃতা দিয়েছেন।’

বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচনের ভোটপ্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাস হয়ে গিয়েছে। তাঁরা অশোকস্তম্ভের পরিবর্তে হাওয়াই চটি পরুক।’ এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দপ্তরে গিয়ে নালিশ করেন তৃণমূল নেতারা। ‘ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক এবং রাজ্য পুলিশের অবমাননা’র অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে শোকজের দাবি জানান রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল এব্যাপারে সুকান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগও করেছে। কারণ, এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করা হয়েছে তালডাংরার নির্বাচনী এলাকায়।

শাসকদলের চিঠিতে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুকান্ত রাজ্যের পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘তৃণমূলের দালাল হিসেবে কাজ করবেন না। আপনাদের পোশাক থেকে অশোক স্তম্ভ খুলে ফেলুন এবং পরিবর্তে চপ্পলের প্রতীক ব্যবহার করুন।’ বিজেপি নেতার এই বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় প্রতীক ও রাজ্য পুলিশের অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি হয়েছে।

তৃণমূল আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেছে যে, এটা বিজেপির একটি ‘প্রপোগান্ডা’ ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁরা নির্বাচনী কেন্দ্রে এই ধরণের বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে হিংসাত্মক করে তুলতে চাইছে। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে শাসকদলের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছে। যা ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনকে লঙ্ঘন করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘এভাবে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা, আইন প্রণয়নকারী সংস্থাকে অপদস্থ করে ইচ্ছাকৃতভাবে অবিশ্বাস ও হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে।’ সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।