দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিরােধীরা সােচ্চার হলেও শাসক দল সবসময় বলে এসেছে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কোনও বাধা নেই, গতি সচল। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে আমজনতার সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন ওতপ্রােতভাবে জড়িত থাকায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের শ্রমজীবী মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক বলে মন্তব্য করে দেশের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেন, তামাম দেশ জুড়ে প্রতিমাসে একদিন বেতন হওয়া উচিত- দেশের প্রতিটি সেক্টরের কর্মীদের তা সে কেন্দ্র সরকারি, রাজ্য সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হােক, সঠিক সময়মতাে বেতন দেওয়া নিশ্চিত করতে খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ওএসএইচ কোড পাশ করাতে চলেছেন।
তিনি বলেন, কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রশ্নে বিশেষ করে শ্রমজীবী শ্রেণীর কর্মীদের স্বার্থের কথা ভেবে কেন্দ্রের তরফে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পে ডে’ অর্থাৎ ‘এক দেশ, এক বেতন দিবস’ চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেন, কেন্দ্র ওএসএইচ (অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ এন্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন) কোড ও কোড অফ ওয়েজেস বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
সেন্ট্রাল অ্যাসােসিয়েশন অফ প্রাইভেট সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা আয়ােজিত সিকিউরিটি লিডারশিপ সম্মেলন, ২০১৯ ‘উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে তা সে কেন্দ্র সরকারি, রাজ্য সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হােক, সমস্ত সেক্টরের কর্মীদের সঠিক সময়মতাে বেতন দেওয়া নিশ্চিত করতে ওয়ান নেশন ওয়ান পে ডে চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি খুব শীঘ্রই আইনটি পাশ করাতে চলেছে। দেশের সমস্ত সেক্টরে প্রতিমাসে একই দিনে বেতন হওয়া উচিত। পাশাপাশি, সমস্ত সেক্টরের কর্মীদের সঠিক জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিন্ন ন্যূনতম বেতন চালু করা হবে। সংসদে ইতিমধ্যে কোড অন ওয়েজেস পাশ করা হয়ে গেছে। তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে নীতি ঠিক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২৩ জুলাই ওএসএইচ কোড লােকসভায় পেশ করা হয়েছিল। বেসরকারি সেক্টরের কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ওই আইনের খসড়ায় ১৩টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে ঢােকানাে হয়েছে। আইনে কয়েকটি নতুন বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে- বেসরকারি সংস্থার মালিককে কর্মী নিয়ােগের সময় নিয়ােগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিনামুল্যে বার্ষিক মেডিকেল চেক আপের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মােদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে শ্রম আইন সংস্কার করা হচ্ছে। ৪৪টা জটিল শ্রম আইনকে সংস্কার করা হচ্ছে। আমরা সব পক্ষকে বলেছি আইনগুলিকে আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করে তুলতে হবে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের অভিযােগ ও সমস্যা সমাধান করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যেখানে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে’।
তিনি বলেন, মােদি অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মেডিকেল চিকিৎসা কভারেজ দেওয়ার পাশাপাশি ৩০০০ টাকা করে প্লেশন দেওয়া নিশ্চিত হতে চান। অসংগঠিত সেক্টরের কমী ও শ্রমজীবীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও স্কিম চালু করা হবে।