প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই নজির গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজের ‘চিফ অফ স্টাফ’ হিসাবে সুসি ওয়াইলসকে বেছে নিলেন তিনি৷ আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলাকে এই পদে বসানো হল৷ মূলত, প্রশাসনিক প্রায় সমস্ত দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে৷ প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যোগসূত্র তৈরি করার দায়িত্ব পালন করবেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে ট্রাম্পের সমস্ত সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক স্তরে সঠিকভাবে রূপায়িত হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখবেন সুসি।
সুসির কৃতিত্ব স্বীকার করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন ট্রাম্প৷ তিনি লেখেন, ‘উনি একজন কঠোর পরিশ্রমী, শ্রদ্ধাশীল, উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি৷ আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে তিনি অপরিসীম পরিশ্রম করবেন৷’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা চিফ অফ স্টাফ হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷ এই সম্মান তাঁর প্রাপ্য ৷ তিনি আমাদের দেশের গর্ব ৷’
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালীন নজর কেড়েছেন সুসি। তথ্য বলছে, রাজনীতির কলাকৌশল তিনি ভালোই বোঝেন। সবথেকে ভালো বোঝেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জটিল রাজনৈতিক চরিত্র।নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের প্রচার সামলেছিলেন সুসি ওয়াইলস৷ ঠিক করে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমস্ত প্রচার কৌশল৷ ওয়াকিবহাল মহালের দাবি, সুজি একজন দক্ষ রাজনৈতিক কৌশলী।
সুসি যে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ পদে বসছেন, সেকথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন ট্রাম্পের ডেপুটি, অর্থাৎ – আমেরিকার নয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।তাঁর মতে, সুসি ওয়াইলস হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘উইনিং ক্যাম্পেন ম্যানেজার’। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কৌশল যে কার্যকর হয়েছে তার জন্য সুসিকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স।
এবার তাঁকেই হোয়াইট হাউজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে কাজ করছেন ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৬৭ বছরের সুসি ওয়াইলস৷ যদিও প্রচারের আলোয় থাকা পছন্দ নয় সুসির ৷ এমনকী, বুধবার জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ফ্লোরিডায় ট্রাম্প তাঁকে ভাষণ দিতে বললেও তিনি ক্যামেরার সামনে আসেননি ৷ তবে তাঁর দক্ষতার উপর ভরসা রেখেছেন ট্রাম্প ৷
২০১৬ এবং ২০২০ সালেও ট্রাম্পের জন্য ফ্লোরিডায় প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন সুসি ওয়াইলস। এর পাশাপাশি, ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের জন্যও প্রচারকাজ চালান সুসি। সুসির রাজনৈতিক সফর শুরু হয় ১৯৭০-এর দশকে ওয়াশিংটন থেকে। প্রথমে নিউ ইয়র্কের প্রতিনিধি জ্যাক কেম্পের অফিসে কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে রোনাল্ড রেগানের প্রচার কর্মসূচি এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন সুসি। এর পরে তিনি ফ্লোরিডার রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন।