• facebook
  • twitter
Friday, 8 November, 2024

ভূপেন হাজরিকার মৃত্যুবার্ষিকী উদ্‌যাপন

দাদা সাহেব ফালকে, ভারতরত্ন প্রভৃতি শীর্ষ সম্মানে ভূষিত এই শিল্পীর জীবন ও শিল্পকর্মের পাশাপাশি কলকাতা, আইপিটিএ ও বাংলা গানের সঙ্গে তাঁর গভীর সংযোগের কথা তিনি আলোচনা করেন।

গত ৫ নভেম্বর ছিল কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজরিকার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে অসম সাহিত্য সভা ও অসম সোশিও লিটারারি ক্লাব (এএসএল ক্লাব)-এর যৌথ উদ্যোগে অত্যন্ত মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হল এই কালজয়ী শিল্পীকে।

এএসএল ক্লাবের অধ্যক্ষা রেখা চলিহা বসু প্রদীপ প্রজ্বালন ও মাল্যার্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এএসএল ক্লাবের সভাপতি প্রকাশ আচার্য ও অসম সাহিত্য সভার সভাপতি জীবন রায় তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্যের কথা তুলে ধরেন। সঙ্গীতের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্যকৃতির কথাও তুলে ধরা হয়। অসমীয়া ভাষা ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই গৌরবের কথাও উল্লেখ করা হয়। ভূপেন হাজরিকার দুটি কালজয়ী সঙ্গীত সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন নেইনা শর্মা মুখার্জী, নমিতা ফুকন, মুন তালুকদার, কস্তুরী শর্মা গোস্বামী, পার্থপ্রতিম বরঠাকুর, মালবিকা বরুয়া, দিলীপ কর্মকার ও মনীষা শর্মা বরঠাকুর।

এদিন ভূপেন হাজরিকা স্মারক বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক সৈয়দ হাসমত জালাল। দাদা সাহেব ফালকে, ভারতরত্ন প্রভৃতি শীর্ষ সম্মানে ভূষিত এই শিল্পীর জীবন ও শিল্পকর্মের পাশাপাশি কলকাতা, আইপিটিএ ও বাংলা গানের সঙ্গে তাঁর গভীর সংযোগের কথা তিনি আলোচনা করেন। এখনও প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে গাওয়া হয় তাঁর গান, তিনি বলেন।

বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী প্রীতিশা নাথ ও পরে নিশান্ত গৌতম ভূপেন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। ভূপেন হাজরিকার স্মরণে ড. অমর জ্যোতি চৌধুরী রচিত কবিতার সঙ্গে অপূর্ব নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যবিদ তাপস দেবনাথ। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেন তাঁর সহযোগী শিল্পীরাও। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অসম সাহিত্য সভার সম্পাদিকা মনীষা শর্মা বরঠাকুর।