• facebook
  • twitter
Thursday, 7 November, 2024

৩৭০ ধারা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় 

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ৩৭০ ধারা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার ভিতরে।  বিধানসভার ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিকে বিধানসভায় একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করে পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্স। সেখানে অবিলম্বে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারাগুলি বলবৎ করার দাবি জানানো হয়েছে। নির্দল বিধায়ক শেখ খুরশিদ এবং জেলবন্দি বারামুলার সাংসদ রশিদের ভাই তথা আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ পুনর্বহালের দাবি জানান।

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ৩৭০ ধারা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার ভিতরে।  বিধানসভার ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিকে বিধানসভায় একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করে পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্স। সেখানে অবিলম্বে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারাগুলি বলবৎ করার দাবি জানানো হয়েছে। নির্দল বিধায়ক শেখ খুরশিদ এবং জেলবন্দি বারামুলার সাংসদ রশিদের ভাই তথা আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ পুনর্বহালের দাবি জানান। এতে আপত্তি জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। এরপরেই বিধানসভার ভিতরে হৈ হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। বিধানসভায় সরব হন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন শাসক শিবিরের বিধায়করা। এরপরেই পরিস্থিতি হাতাহাতিতে গিয়ে দাঁড়ায়। 
 
বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বুধবার পাশ হয়ে যাওয়া ৩৭০ পুনর্বহালের প্রস্তাবকে বেআইনি বলেছিলেন। এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই শেখ খুরশিদ একটি ব্যানার নিয়ে হাউজের ওয়েলে এসে দেখতে শুরু করেন।  সেখানে লেখা ছিল, ‘আমরা ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।’ এই ব্যানার দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না এনসি-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’ বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বলেন, ‘আপনারা বিশেষ মর্যাদার নামে কাশ্মীরের মানুষকে হত্যা করছেন।’ 
 
বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়া খুরশিদের হাত থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও খুরশিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর হাউজের মধ্যেই ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন বিধায়করা। হৈ হট্টগোলের জেরে স্পিকার ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। 

বুধবারই জম্মু ও কাশ্মীরে ফের অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয়  বিধানসভায়। শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স  এই প্রস্তাব পেশ করার পরই বিধানসভায় চেঁচামেচি শুরু হয়। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়কেরা। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে প্রস্তাবটি পাশ করানো হয়। 

পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্সের তরফে জারি করা নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে , ২০১৯ সালের আগে জম্মু-কাশ্মীরে যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা ফিরিয়ে আনতে হবে।   

৬ বছর পরে গত সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় অধিবেশন বসে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিধানসভায় মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-র বিধায়ক ওয়াহিদ পাররা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করলে হইচই শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়কেরা।

প্রসঙ্গত, মোদী সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয় । রাজ্যটিকে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।