• facebook
  • twitter
Thursday, 7 November, 2024

এই প্রথম! তালিবান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভারতীয় আধিকারিকের

আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্কে নয়া মোড়। তালিবানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করলেন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক।

আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্কে নয়া মোড়। তালিবানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করলেন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক। ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত আফগানিস্তানের আমির এবং তালিবানের প্রাক্তন প্রধান মোল্লা ওমরের ছেলে মহম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ।

বুধবার কাবুলে ইয়াকুব এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিং বৈঠক করেন। জেপি সিং পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি দেখেন। ২০২১ সাল থেকে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান নাম নিয়ে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবানরা।

ভারতের প্রতিনিধি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং প্রাক্তন আফহান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান গেলেন জেপি সিং।

তালিবানের প্রতিরতক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে। মানবিক সহযোগিতা এবং অন্যান্য বিষয়ে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে আরও যোগাযোগ জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশের প্রতিনিধি। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান আধিকারিকের মতে, এই বৈঠক এটাই প্রমাণ করে যে ভারত কাবুলের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও মানবিক সহায়তার পাশাপাশি আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সাহায্য করতে প্রস্তুত। শুধুমাত্র বর্তমান সফরে নয়, এর আগেও একাধিকবার তালিবানদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে আফগান ভূখণ্ড তারা কোনওভাবেই ব্যবহার করতে দেবে না। একই সঙ্গে আফগানিস্তান ভারতকে এটা বোঝাতে পেরেছে যে কাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার এটাই সঠিক সময় হতে পারে।

এর আগে ইয়াকুব ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেছিলেন। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা সহযোগিতাও পায় আফগানিস্তান। ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উভয় দেশ ও জনগণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক সেই কারণেই তালিবানরা নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসে তালিবান বিদেশ মন্ত্রকের একজন কূটনীতির নিয়োগ করতে চায়। এনিয়ে ভারতকে চাপও দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান তালিবানের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আপাতত আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

অন্যান্য দেশের মতো ভারতও কাবুলের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সে-দেশের দূতাবাসে থাকা সমস্ত কূটনীতিকদের সরিয়ে নেয় ভারত। ২০২২ সাল থেকে অবশ্য বরফ গলতে শুরু করে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম মোতায়েন করে ভারত। তারপর থেকে আফগান জনগণের জন্য গম, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরবরাহসহ মানবিক সহায়তা সরবরাহ করছে ভারত।