নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ দিতে এবার আর্থিক ঋণ দেবে কেন্দ্র সরকার। এক্ষেত্রে পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল। বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রেও আর্থিক সহায়তা দেবে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে পড়ুয়ারা উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ তো পাবেনই, পাশাপাশি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার ক্ষেত্রে গ্যারান্টার বা জামানত ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা ঋণ পাওয়ার সুযোগও পাবেন।
অর্থের অভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত বহু পরিবারের মেধাবী পড়ুয়ারা মাঝপথে পড়াশুনো ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পে এই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ারা উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণের সুযোগ পাবেন। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে।দেশের প্রায় ২২ লক্ষ পড়ুয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে মিলবে শিক্ষার জন্য ঋণ।
প্রায় ৭০ টি বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায়। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘এই প্রকল্পে ঋণ পেতে গেলে কোনও গ্যারান্টার লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য, একজন মেধাবী পড়ুয়াও যাতে বঞ্চিত না হন।’
প্রতি বছর সর্বোচ্চ এক লক্ষ শিক্ষার্থী এই প্রকল্পে ঋণ পাবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, ‘আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক পারিবারিক আয় রয়েছে যে সব পরিবারে, সেখানে পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পে একজন পড়ুয়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ পাবেন। সুদের হার ৩ শতাংশ।’
পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর হবে। এর আগে বার্ষিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের পরিবারের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ঋণ পেতেন। ২০২৪-২৫ থেকে ২০৩০-৩১ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৩৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।