উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হল অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নামে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে এক জনসভায় বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। এই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে সোমবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বৌবাজার থানায়। নিরাপত্তার কারণে অভিযোগকারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, ২৭ অক্টোবর অমিত শাহের বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কর্মসূচিমূলক একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুন। সেখানেই তিনি উস্কানিমূলক কিছু বক্তব্য রাখেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের একটি পুরোনো বিতর্কিত মন্তব্যকে টেনে এনে তিনি বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামনেই বলছি, যা করতে হয় সব করব। এই সব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের এখানকার এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভাবলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলবেন। এমন কথা না বলতে বলবেন। কিছু হল না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। কিন্তু বলে রাখছি, ভাগীরথী নদী আমাদের মা। তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব!’
তিনি আরও বলেন, ‘বার বার বলছি, যা করতে হয় সব। এমন সদস্য চাই, যাঁরা বুক চিতিয়ে বলবেন, মার! কত গুলি আছে দেখি! এমন কর্মী চাই না, যাঁরা টাকা নিয়ে কাজ করেন। এমন করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান। আমি বলে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল যদি ছেঁড়েন, আমরা চারটে ছিঁড়ব। এটা সত্যি। নইলে জিততে পারব না।’
সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সি মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
তাঁর এইসব মন্তব্যের জেরেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, দায়ের হয়েছে এফআইআর। তবে, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।