এবার উপকূলে নৌসেনা নজরদারির কাজে ব্যবহার করবে আধুনিক ভেসেল। আর সেই ভেসেল তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার অধিকৃত গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারস (জিআরএসই)। নৌসেনাকে এই সংস্থা আধুনিক চারটি ‘নেক্সট জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ (এজিওপিভি) তৈরি করে দেবে। মঙ্গলবার সেই নির্মাণেরই সূচনা (কিলস লেয়িং) হল কলকাতার গার্ডেনরিচে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ২০২৬ সালে ভারতীয় নৌসেনার হাতে এই চারটি আধুনিক ভেসেল তুলে দেবে ওই সংস্থা। সেগুলির সাহায্যেই উপকূলে নজরদারি চালাবে নৌসেনা। ২০২৩ সালেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আধুনিক ভেসেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।
মূলত উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য ১১টি নেক্সট জেনারেশন এবং ছটি মিসাইল ভেসেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। সেই ১১টি নেক্সট জেনারেশন ভেসেলের মধ্যে ৪টি তৈরি করবে জিআরএসই। এই ১১ টি ভেসেল তৈরি করতে মোট খরচ পড়বে ৯ হাজার কোটি টাকা। এই ভেসেলগুলোর সাহায্যে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি জলসীমায় টহল, পাচার রোখা, সন্ত্রাস দমনের কাজ করা হবে। বিপর্যয়ের সময় এই ভেসেলগুলিই উদ্ধার কাজে নামবে। জিআরএসইতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে এই ভেসেলগুলো। তার ভেতরে থাকবে ১২.৭ এমএম আরএসসিজি (মেশিনগান) একে-৬৩-র মত অস্ত্র এবং তার মধ্যে ক্যামেরা বসানো হবে। আগের ওপিভিগুলির তুলনায় এখনকার ওপিভিগুলো আকারে অনেক বড় এবং মজবুত হবে। ঝড়ঝাপটা সামলানোর অনেক বেশি ক্ষমতা থাকবে এগুলোর। ভেসেলটি দৈর্ঘ্যে হবে ১১৩ মিটার। আর চওড়ায় হবে ১৪.৬ মিটার। এর গতিবেগ হবে ২৩ নট (ঘন্টায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার)।
একটি ভেসেলে ২৪ জন আধিকারিক ও ১০০ জন নাবিক থাকতে পারবেন। মঙ্গলবার জিআরএসইতে এই ভেসেল নির্মাণেরই সূচনা হল। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জিআরএসই সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিআর হরি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে জিআরএসই অধিকরণ করেছে ভারত সরকার। এই সংস্থার তৈরি বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক ভেসেল ইতিমধ্যেই মরিশাস ও সেশেলসের মত দেশে রপ্তানি করা হয়েছে।