চলতি সপ্তাহেই ছট পুজো, আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। আগেবাগেই ছট পুজোয় বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার সেই নির্দেশকে পাথেয় করেই মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌরপ্রধান নিমাই ঘোষের তত্ত্বাবধানে মধ্যমগ্রাম পুর এলাকায় ছট পুজো সংঘটিত হওয়া ঘাটগুলি পরিদর্শন করলেন উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকগণ। দুদিন ব্যাপী এই পরিদর্শন-পর্বে উপস্থিত ছিলেন নিমাই ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, মহকুমা শাসক সোমা দাস, বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী সহ মধ্যমগ্রাম এবং এয়ারপোর্ট থানার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকগণ।
নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, রবিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৪নং ওয়ার্ডে এবং সোমবার গঙ্গানগর ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডে এই পরিদর্শন-পর্ব সংঘটিত হলো। তাঁর ভাষায়, ‘ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডে মধ্যমগ্রামের বৃহত্তম ছট পুজো সংঘটিত হয়।’ কি কি প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এই পুজোকে কেন্দ্র করে? এ প্রসঙ্গে নিমাই ঘোষের বক্তব্য, ‘যে সকল নির্দেশিকা রাজ্য সরকার দিয়েছে তা আমরা অনুসরণ করছি। ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমানে আলো এবং মহিলাদের জন্য চেঞ্জিং রুমের বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করবো। পাশাপাশি বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে। সর্বোপরি আমরা প্রস্তুত, সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ছট পুজো সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে সংঘটিত হয়।’
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মধ্যমগ্রামের ঘাটগুলির পরিদর্শন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। নির্দেশিকার বাস্তবায়ন কেবল সময়ের অপেক্ষা। অতীতে ছট পুজোকে কেন্দ্র করে মধ্যমগ্রামে অশান্তি হয়নি, পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় এবারও সুস্থ ভাবেই পুজো সম্পন্ন হবে। মহিলাদের নিরাপত্তাতেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ‘ডানা’ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছট পুজো প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কার করতে হবে। ঘাটগুলির সিঁড়ি যাতে পিছল না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে। ঘাটের কাছে ব্যারিকেড করতে হবে। পুলিশকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একসঙ্গে সবাই না নামেন। ঘাটগুলিতে আলো লাগাতে হবে।’ এছাড়া ঘাটের কাছে যাতে ভিড়ভাট্টায় কোনও সমস্যা না হয়, তাই ভিআইপিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। ‘ছট পুজোর প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখা হবে না’, আশ্বাস দিয়েছেন রথীন ঘোষ থেকে নিমাই ঘোষ।