• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

ঝাড়খণ্ডে ভোটের স্বার্থে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা দিচ্ছে সরকার:মোদী  

একদিন আগেই ঝাড়খণ্ডে এসে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের নিশানায় ছিল মূলত  জেএমএম, কংগ্রেস,  আরজেডি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই সোমবার ফের একই ইস্যুতে সোচ্চার হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল করে তুলছে সরকার। প্রধনমন্ত্রী বলেন, 'তোষণের  রাজনীতিকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিন দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

একদিন আগেই ঝাড়খণ্ডে এসে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের নিশানায় ছিল মূলত  জেএমএম, কংগ্রেস,  আরজেডি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই সোমবার ফের একই ইস্যুতে সোচ্চার হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল করে তুলছে সরকার। প্রধনমন্ত্রী বলেন, ‘তোষণের  রাজনীতিকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিন দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে এসেছে। ভোটের স্বার্থে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিন রাজনৈতিক দল।’
 
মোদী বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে এই রাজ্যে। এ থেকেই বোঝা যায় যে বিপদ কত বড়। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকে আটকে দেওয়া হয়, কার্ফু জারি করা হয়, তখন বোঝা যায়,  পরিস্থিতি কতটা গুরুতর এবং উদ্বেগজনক । মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে প্রতারণা করা  হচ্ছে। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছে।’
 
প্রসঙ্গত ঝাড়খণ্ডের ভোটে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের দিন ফের একবার অনুপ্রবেশকারী, নারী সুরক্ষা প্রশ্নে আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের প্রশাসন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে, আর তাতেই সঙ্কটের মুখে জনজাতি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডের ‘মাটি, বেটি এবং রোটি’ সুরক্ষিত হবে বলে দাবি শাহের। পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
শাহ আরও বলেছিলেন, ‘সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, হু হু করে বাড়ছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা  । মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জমি দখল করা হচ্ছে। এসব যদি বন্ধ করা না যায় তবে ঝাড়খণ্ডের প্রকৃত রূপ, সংস্কৃতি, কাজের সুযোগ, জমির অধিকার, মেয়েদের সুরক্ষা কোনওটাই রক্ষা করা সম্ভব হবে না।ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে এবং আমরা ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে ছাড়ব।’ এরপর ফের সেই একই ইস্যুতে আক্রমণ শানালেন মোদী।  
 
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পাল্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির গোপন কোনও চুক্তি আছে কি না আমি তা জানতে আগ্রহী। অনুগ্রহ করে আমাদের জানানো হোক, কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ? বিজেপি নিজেই বলছে, তাদের শাসিত রাজ্য দিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা আসছে ভারতে।’
 

জেএমএম নেতা মহুয়া মাজি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘জনতা বিজেপিকে বিশ্বাস করে না। বিজেপি সরকারের আমলে রাঁচি বা ঝাড়খণ্ডের কোনও উন্নতি  হয়নি। বিজেপির আমলে নারীপাচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি।’