রবিবার, ভাইফোঁটার দিন শীতের মরশুমের জন্য বন্ধ করা হল কেদারনাথ ধামের দরজা। ওম নমঃ শিবায়, জয় বাবা কেদার মন্ত্রোচ্চারণ এবং ভারতীয় সেনা ব্যান্ডের ভক্তিমূলক সুরের মধ্যে বৈদিক আচার ও ধর্মীয় ঐতিহ্য মেনে দরজা বন্ধ করা হয়। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কেদারনাথ ধাম বন্ধের বিষয়টি দেখতে উপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজারেরও বেশি ভক্ত। দীপাবলি উপলক্ষে কেদারনাথ মন্দির ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল।
রবিবার ভোর ৫টা থেকে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির (বিকেটিসি) সভাপতি অজেন্দ্র অজয়, আচার্য, বেদপথী এবং বিকেটিসির পুরোহিতদের উপস্থিতিতে ভগবান কেদারনাথের স্বঘোষিত শিবলিঙ্গের সমাধি পুজো করেন। শিবলিঙ্গকে ছাই, ফুল, বেল পাতা দিয়ে সমাধি রূপ দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় বাবা কেদারের পঞ্চমুখী উৎসব ডোলি মন্দির থেকে বের করে আনা হয়, এরপর শ্রী কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দরজা বন্ধ হতেই বাবা কেদারের পঞ্চমুখী উৎসব ডোলি রওনা দেয় প্রথম স্টপেজ রামপুরের উদ্দেশ্যে। বাবার পঞ্চমুখী ডোলি নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের জন্য বিভিন্ন স্থানে ভান্ডারার আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার কেদারনাথের আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। চারদিকে তুষারপাতের কারণে ঠান্ডা বাতাসও বইতে থাকলেও ভক্তদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ।
বিকেটিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাবা কেদারের পঞ্চমুখী ডোলি ৩ নভেম্বর রামপুরে রাখা হবে। ৪ নভেম্বর, সোমবার বিশ্বনাথ মন্দিরে থাকবে এবং ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার ওমকারেশ্বর মন্দির উখিমঠের শীতকালীন আসনে পৌঁছবে। শীতকালে উখিমঠের ওমকারেশ্বর মন্দিরেই বাবা কেদারের পুজো হবে।
বিকেটিসি সভাপতি অজেন্দ্র অজয় বলেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক, প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী কেদারনাথ ধামে পৌঁছেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নেতৃত্বে কেদারনাথ ধাম যাত্রা সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। এই কারণে বিকেটিসি, পুলিশ-প্রশাসন, ভ্রমণ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, আইটিবিপি ইত্যাদির কর্মীদের যাত্রা সফলভাবে পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যাবে বদ্রীনাথ ধামের দরজা। গত শনিবার, ২ নভেম্বর শীতের জন্য বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী ধামের দরজা। রবিবার বিকেলে ‘যমুনোত্রী ধাম’-এর দরজা বন্ধ করা হবে।
গত ১০ অক্টোবর পবিত্র গুরুদুয়ারা হেমকুণ্ড সাহিব ও লোকপাল লক্ষ্মণ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় কেদার মদমহেশ্বরজির দরজা বন্ধ হবে ২০ নভেম্বর এবং তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথজির দরজা বন্ধ হবে ৪ নভেম্বর, সোমবার। ১৭ অক্টোবর চতুর্থ কেদার রুদ্রনাথের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।