ফ্রিজার বিকল হয়েছে অনেক দিন। আর তার মধ্যেই মজুত রাখা হচ্ছে দাবিহীন মৃতদেহ। যার ফলে চরম দুর্গন্ধে মর্গের আশেপাশে দিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি যে সত্যি, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ এক বছরের বেশি সময় ধরে মালদহ মেডিকেলের মর্গের ফ্রিজার খারাপ। অথচ তার মধ্যেই রাখা হচ্ছে দাবিহীন মৃতদেহগুলি। সেই মৃতদেহগুলি গরমে পচছে আর তার চরম দুর্গন্ধে মর্গের আশেপাশে দিয়ে যাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ফ্রিজার খারাপের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য কাজ আটকে আছে।’ তবে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যালে ৮টি ফ্রিজার রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি রয়েছে মর্গে। বাকিগুলি অ্যানাটমি বিভাগ ও ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে রয়েছে। সূত্রের দাবি ৮টি ফ্রিজারে ৪৮ টি মৃতদেহ রাখার পরিকাঠামো রয়েছে। অথচ এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় সবই বিকল হয়ে আছে। আর সেখানেই রাখা হচ্ছে দাবিহীন একাধিক মৃতদেহ। ফলে দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। সম্প্রতি আরজি কর মেডিকেল থেকে পাওয়া গিয়েছিল ‘রক্তমাখা’ গ্লাভস। তারপর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পাওয়া গিয়েছিল মরচে ধরা কাঁচি। তাই নিয়ে বিতর্কের রেশ কমতে না কমতেই, এবার মালদহের মর্গে বিকল ফ্রিজারের ঘটনা সামনে এল।