• facebook
  • twitter
Friday, 1 November, 2024

বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রশ্নের মুখে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল 

বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে। হাসপাতালের বেডের চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই বন্দি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। বিচারাধীন ওই বন্দির নাম দেবনাথ বাগদি, বয়স ৩০ বছর। শুক্রবারের এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়া পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে। হাসপাতালের বেডের চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই বন্দি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। বিচারাধীন ওই বন্দির নাম দেবনাথ বাগদি, বয়স ৩০ বছর। শুক্রবারের এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়া পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

 
দেবনাথ বাগদিকে গত ২৪ অক্টোবর চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে বোলপুর থানার পুলিশ। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বোলপুরের নায়েকপাড়ার বাসিন্দা দেবনাথ বাগদির গ্রেপ্তার হওয়ার দিনই ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত হয় । বোলপুরের সিয়ান সংশোধনাগারে ছিলেন দেবনাথ। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয়। এদিন সেই সেল থেকেই দেবনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের তরফে তাঁদের কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ঘটনার বহুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে তাঁরা দেবনাথের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। বিচারাধীন ওই বন্দির মা পল্লবী বাগদি বলেন, ‘কোনও খবর দেয়নি পুলিশ। পুলিশ ধরে নিয়ে গেল, তারপর আমার ছেলে মারা গেল। আমি আর কী বলব, বিচার চাই।’
 
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  পুলিশ সেলে বিচারাধীন বন্দির উপর কেন কোনও নজরদারি ছিল না সেই প্রশ্নও উঠেছে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল শান্তিনিকেতন থানার অধীনে। পুজোর মরশুমে পুলিশী নজরদারির অভাবই এর কারণ বলে অভিযোগ উঠেছে। বহু থানাতেই হচ্ছে কালীপুজো। যদিও বিষয়টি নিয়ে বীরভূম জেলার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।