কালীপুজোর দিন জোড়াবাগানে বাড়ির মেঝে থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন হয়েছেন ওই প্রৌঢ়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়( ৫২)। তিনি পেশায় ছিলেন এলআইসি এজেন্ট। থাকতেন জোড়াবাগানের সেন লেনে। তিনি পাঁচতলা বাড়ির একটি অংশে একাই বসবাস করতেন। ওই বাড়িটির নিচের অংশে থাকতেন তাঁর দিদি। প্রতিদিন দিদির বাড়ি থেকে তাঁর বাড়িতে চা যেত। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারেও তাঁর দিদির বাড়ি থেকে চা যায় তাঁর বাড়িতে। কিন্তু চা দিতে গিয়ে দেখা যায়, অভিজিৎ বাবুর ঘরের দরজা বন্ধ এবং ধাক্কা দিলেও তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
অগত্যা পিছনের দরজা দিয়ে অভিজিৎবাবুর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁর দিদির পরিবারের লোকেরা। পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকার পর দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছেন অভিজিৎবাবু। মেঝেতে জমে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। খবর দেওয়া হয় জোড়াবাগান থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিজিৎবাবুর পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে কী কারণে, কে বা কারা ওই প্রৌঢ়কে খুন করল তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যদি ঘরের দরজা বন্ধ থাকে, তাহলে কিভাবে খুন হলেন ওই প্রৌঢ়। তাহলে কি কোনও পরিচিত ব্যক্তির হাতেই খুন হতে হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পরিচিত কোনও ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনকেও।