কালীপুজোর আগের রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া। লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন জনের। মৃতরা ফলের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ব্যবসার জন্য হলদিয়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফেরার সময়ই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল, দাসপুর-সহ আশপাশের এলাকায়। পাঁশকুড়ারও বেশ কিছু রাস্তা জলের তলায় রয়েছে। রাস্তায় জল জমে থাকায় রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকেন তাঁরা। যে ট্রেন থেকে ওই তিনজন রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে নামেন, সেই ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
মৃতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। আরেকজন পরিবারের সন্ধান চালাচ্ছেন পুলিশ। মৃতরা হলেন – জয়দেব সাঁতরা। তাঁর বয়স ৫৭ বছর। রিঙ্কু ভৌমিক নামে বয়স ৪৯-এর এক মহিলারও মৃত্যু হয়েছে।
ওই তিন ফল ব্যবসায়ী প্রতিদিন সকালে ট্রেনে কর হলদিয়ায় ফল বিক্রি করতে যেতেন। ফল বিক্রি করে রাত ৮টার ট্রেনে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা। বুধবার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। সেই সময় জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীরা মারা গিয়েছেন।
কালীপুজোর আগের রাতে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর খবর মেলায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তায় জল জমে থাকায় থাকলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই তিনজন প্রাণ হারালেন।