আলোর উৎসবে খ্যাতির কেন্দ্র যদি হয় বারাসত, তবে তার পরিধির মধ্যে অবশ্যই পড়ে মধ্যমগ্রাম। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদরের সঙ্গে বরাবরই পাল্লা দেয় পার্শ্ববর্তী এই এলাকা। মণ্ডপ সজ্জা থেকে শুরু করে অসাধারণ মাতৃ প্রতিমার নির্মাণ, খামতি নেই কোনও কিছুতেই। মধ্যমগ্রামের বড় বাজেটের কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মাইকেলনগর নেতাজি সংঘের পুজো।
জাঁকজমকপূর্ণতার নিরিখে নেতাজি সংঘের পুজোর সুনাম মধ্যমগ্রামে ব্যাপ্ত। ৫৭তম বর্ষে পদার্পন করা এই পুজোর এবারের থিম ঝাড়খণ্ডের ‘মাইথন ম্যারেজ প্যালেস’। উল্লেখ্য, নেতাজি সংঘের সার্বজনীন এই কালীপুজোর সহযোগিতায় থাকে মাইকেল সমবায় উপনিবেশ সমিতি। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত এই পুজো কমিটির সঙ্গে। কারণ নেতাজি সংঘের কালীপুজো রথীন ঘোষের পাড়ার পুজো হওয়ায় দীপাবলির ক’টা দিন তিনি এই মণ্ডপ এবং পুজো কমিটির সঙ্গেই সময় অতিবাহিত করেন। এছাড়াও মণ্ডপের সঙ্গে থাকছে বিশেষ চমক, কলকাতা-সহ মুম্বই খ্যাত শিল্পীদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে পুজো কমিটি। এই পুজোর মাতৃ প্রতিমা এসেছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা থেকে। শিল্পী কৃষ্ণ পালের তুলি টানে অনবদ্য রূপ ধারণ করেছে মাতৃ প্রতিমাটি।
নেতাজি সংঘের কালীপুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, উপদেষ্টা স্থানীয় পৌরপিতা অরূপ কুমার ঘোষ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মণ্ডপের অভ্যন্তরীন সজ্জা নিয়ে ক্লাবের সহ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরে আমরা শ্রী কৃষ্ণের শৈশব থেকে যৌবন, জীবনের প্রত্যেক ধাপের বিশেষ মুহূর্তগুলি তুলে ধরেছি। মাতৃপ্রতিমার সাজও অসাধারণ। শ্যামামায়ের ডান দিকে দেখানো হয়েছে বকাসুর বধ এবং বাঁদিকে সীতার অগ্নিপরীক্ষা।’ পাশাপাশি চন্দননগরের আলোকসজ্জা এই মণ্ডপের শোভা বৃদ্ধি করেছে বহুগুন।
তাছাড়াও ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর প্রত্যেক দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পুজো কমিটি, যেখানে উপস্থিত থাকবেন টলিউড থেকে বলিউডের প্ৰখ্যাত শিল্পীরা। কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর ‘সংহতি দিবস’ অনুষ্ঠিত হবে , যেখানে পুজো কমিটির উদ্যোগে এলাকার সকল মানুষ একত্রিত হন এবং সকলের জন্য ভোজনের আয়োজন করা হয়।