সুইস ব্যাঙ্কে মােটা টাকা জমা থাকা অ্যাকাউন্ট। কিন্তু কোনও দাবিদার নেই। ভারতের এমন অনেক অ্যাকাউন্ট শীঘ্রই বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে। আর তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ঠিকানা দেওয়া অ্যাকাউন্টও। সুইজারল্যান্ডের সরকার চাইছে, ওই সব অ্যাকাউন্টের মালিক বা উত্তরাধিকারীরা যথাযথ প্রমাণ দাখিল করে টাকা নিয়ে নিন। অনেক চিঠি চাপাটি হলেও কেউ টাকার দাবি জানাননি এখনও।
২০১৫ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরের ঠিকানা দেওয়া ওই সব অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কোনও দাবিদার এখনও মেলেনি। ফলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই সব অ্যাকাউন্টের অনেকগুলির জমা থাকা টাকা চলে যাবে সুইস সরকারের হাতে।
১৯৫৫ সাল বা তারও আগে থেকে যে সব অ্যাকাউন্টের কোনও দাবিদার নেই ও যেখানে কমপক্ষে ৫০০ সুইস ফ্রাঁ রয়েছে, সেগুলির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে। প্রথমে প্রায় ২৬০০ অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়। এখন এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। আর সেই সব অ্যাকাউন্ট মালিকদের মধ্যে ১০ জনের ঠিকনাই ভারতের বিভিন্ন শহর।
কমপক্ষে দুটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে, যার ঠিকানা কলকাতা। অ্যাকাউন্ট হােল্ডার হিসেবে নাম রয়েছে লীলা তালুকদার ও প্রমথ এন তালুকদারের। নাম আছে চন্দ্ৰলতা প্রাণলাল পটেল, মােহনলাল ও কিশােরলালের।
প্রকাশিত তালিকার অনেক অ্যাকাউন্টের টাকা যেমন এই ডিসেম্বরেই সুইস সরকার নিয়ে নেবে তেমনই কিছু অ্যাকাউন্টের আয়ু ২০২০ সাল পর্যন্ত। এই সব অ্যাকাউন্টে আমানতের মােট অঙ্ক ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। বেশির ভাগেরই দাবিদার মেলেনি। তবে প্রতিবেশী পাকিস্তান সহ কয়েকটি দেশের কিছু অ্যাকাউন্টের দাবিদার মিলেছে বলে দাবি।
সম্প্রতি আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টের গােপনীয়তা অনেকটাই কমিয়েছে সুইস সরকার। বেশ কিছু দেশের মতাে ভারতের সঙ্গেও নাগরিকদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহের চুক্তি হয়েছে তাদের। সেই চুক্তি অনুসারেই তালিকা প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড।