• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বিদেশ থেকে ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে কেন্দ্র

গত সপ্তাহে সরকার জানিয়েছিল যে, পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অন্যান্য দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

পেঁয়াজ (File Photo: iStock)

পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানির কথা ঘােষণা করেছে সরকার। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, পেঁয়াজের দাম তীব্র গতিতে বেড়েছে, জাতীয় রাজধানী সহ কয়েকটি জায়গায় ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। এই দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্য সংস্থা এমএমটিসি পেঁয়াজ আমদানি করবে, তবে সমবায় নাফেদ দেশীয় বাজারে এই আমদানিকৃত পেঁয়াজ সরবরাহ করবে। শনিবার অনুষ্ঠিত সচিবদের একটি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

খাদ্য ও উপভােক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার এক লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে’। তিনি আরও জানান, এমএমটিসি’কে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি এবং দেশীয় বাজারে তা বিতরণের জন্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। নাফেদকে সারা দেশে আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই মন্ত্রী জানান।

গত সপ্তাহে সরকার জানিয়েছিল যে, পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অন্যান্য দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এমএমটিসি’র অনুসারে, একটি দরপত্র ১৪ নভেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ১৮ নভেম্বর বন্ধ হবে। ২ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান অবিলম্বে ভারতীয় বন্দরগুলিতে পৌঁছানাে উচিত এবং দ্বিতীয় চালান ডিসেম্বরের শেষের দিকে সরবরাহ করা যেতে পারে।

দরদাতাদের ন্যূনতম ৫০০ টন পরিমাণের জন্য দরপত্র দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ডিপাের ক্ষেত্রে দরপত্রের সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে ২৫০ টন। প্রয়ােজনীয় সরবরাহের উপর নির্ভর করে ২৫০ টন ইউনিটগুলির সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হবে। তাজা পেঁয়াজ যে কোনও দেশ থেকেই আমদানি করা যেতে পারে, তবে চালানটি ফাইটোস্যানিটারি এবং ফিউমিগাশন শর্ত মেনেই হতে হবে বলে জানানাে হয়েছে।