• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অনুব্রতকে ফোন মমতার, দিলেন সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অনুব্রত বলেন, আমরা কেউ নেতা নই। আমরা দলের কর্মী। আমাদের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সবাইকে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

মমতা ও অনুব্রত। প্রতীকী চিত্র

পুজোর আগেই তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এই প্রথম তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হল তাঁর। সূত্রের খবর, আগামীদিনে কোন পথে চলতে হবে তা নিয়ে অনুব্রতকে বার্তা দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরই জেলায় কোর কমিটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু জেলা সভাপতি পদে কাউকে বসাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলে প্রাধান্য পান অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। তবে জেল থেকে ফেরার পরে ফের চেনা ছন্দে দেখা যায় কেষ্টকে। কোর কমিটির সদস্যদের ছাড়াই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কাজল শেখের সঙ্গেও এক মঞ্চে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। তাই এবার সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জেলার কোর কমিটির এক সদস্যকে ফোন করেন মমতা। সেই ফোনেই অনুব্রতর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তিনি অনুব্রতকে জানিয়ে দেন, জেলায় আর একলা চলা যাবে না।

এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেই কেষ্টকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অনুব্রত বলেন, আমরা কেউ নেতা নই। আমরা দলের কর্মী। আমাদের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সবাইকে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুখে একসঙ্গে লড়ার কথা বললেও তাঁর কাজে তা প্রতিফলিত হয়নি বলেই দাবি করা হয়। অনুব্রত জানিয়েছেন, আর একবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে চান। তাপরই তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মমতার ফোন প্রসঙ্গে এদিন কাজল শেখ বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেত্রী। তিনি যেটা নির্দেশ দেবেন, সেটাই মেনে চলতে হবে।’