কারতারপুর করিডর উদ্বোধনে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমােহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা হল পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির। মনমােহনের নম্রতা ও বিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন কুরেশি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে তার সঙ্গে সময় কাটানাের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন কুরেশি। তিনি বলেন, নয়ের দশকে তিনি মনমােহনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী কুরেশিকে চা বানিয়ে খাওয়ান। মনমােহন সিং নিজে হাতে করে সেই চা কুরেশির হাতে তুলে দেন। ভিডিওয় কুরেশিকে বলতে শােনা গিয়েছে, আমি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। বেগম সাহেবা চা বানালেন। মনমােহন সিং সাহেব নিজে হাতে করে সেই চা নিয়ে এলেন। ফিরে এসে সবাইকে সেই গল্প বলেছিলাম। বলেছিলাম, তিনি কত বড় মনের মানুষ।
কারতারপুর গুরুদ্বার দরবার সাহিবে ভ্রমণরত তীর্থযাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন মনমােহন সিং ও তাঁর স্ত্রী গুসরণ কাউরও। শনিবার কারতারপুর করিডর খুলে যাওয়ার পর ৬২ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রী সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গেছেন। কারতারপুরে নভজোৎ সিং সিধুকে খোঁজ করতে দেখা গেছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেই ভিডিওয় পরিষ্কার শােনা যাচ্ছে ইমরান খান বলছেন, আচ্ছা হামারা ওহ সিধু কিধার হ্যায়? ম্যায় কেহ রাহা হু, হামারা সিধু।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সিধু। সেখানেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামাল জাভেদ বাজওয়া গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মদিবসে কাতারপুর সীমান্ত উদ্বোধনের প্রস্তাব দেন। পরে পিএসজিপিসি সভাপতিও জানান কারতারপুর থেকে অন্যদিকে ইটিপিবি’র সদস্য জয়া উল নুর জানান, এই দিনটি শিখ ও পাকিস্তানের জনগণের কাছে উল্লেখযােগ্য হয়ে থাকবে। এর পরেই সিধুর সঙ্গে ইমরানের দফায় দফায় বৈঠক হয় বলে খবর। সেই আলােচনার জেরেই সম্ভব হয় কারতারপুর করিডর।