• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিজয়া সম্মিলনীতে ফাঁকা চেয়ার, নেই কর্মী সমর্থক,  পদ থেকে সরতে চান শহর তৃণমূল সভাপতি

গত লোকসভা নির্বাচনে এই পুরুলিয়া শহরে বেশিরভাগ ভোটই পড়েছিল বিজেপির পক্ষে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রদীপ ডাগা জানিয়েছেন অনেকেই আসতে পেরেছে অনেকেই আসতে পারেননি। কী কারণে আসতে পারেননি তা তাঁর জানা নেই। তিনি মনে করেন, তাঁর নেতৃত্ব মানুষ পছন্দ করছে না হয়তো।

ঘটা করে করা হলো পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকার মত পুরুলিয়া শহরেও বিজয়া সম্মেলন। কিন্তু একেবারেই দেখতে পাওয়া গেল না কর্মী সমর্থকদের ফাঁকা চেয়ারের সামনে বক্তৃতা দিতে হল জেলা নেতৃত্বকে। চরম অস্বস্তিতে পড়তে হলো পুরুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসকে। গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি  বলে পরিচিত পুরুলিয়া। বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মফুল ফুটেছে এই পুরুলিয়া বিধানসভায়। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয় লাভ করলেও পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে গেরুয়া আবির উড়তে দেখা গেছিল।

তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে প্রত্যেক বছরই পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠন থেকে মাদার সংগঠন বিজয়া সম্মিলনী করে থাকে। সেই ক্রমে এ বছরও দুর্গাপুজোর পর বিভিন্ন ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার পুরুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রবিবার পুরুলিয়া শহরের ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়া সম্মিলনী, ছিল সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কর্মীদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন সেই কর্মী-সমর্থকদের দেখতে পাওয়া গেল না এই সভায়। সভাস্থলে দেখতে পাওয়া গেল বেশিরভাগ চেয়ারই  ফাঁকা। এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন পুরুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া শহরের পৌর প্রধান নবেন্দু মাহালী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, খাবার সময় হয়ে গেছে, তাই খাবারের তাড়া রয়েছে এবং বেশিরভাগ কর্মী সমর্থক খাবারের জায়গায় খাবার খেতে বসে গেছে।

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে এই পুরুলিয়া শহরে বেশিরভাগ ভোটই পড়েছিল বিজেপির পক্ষে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের  সভাপতি প্রদীপ ডাগা জানিয়েছেন অনেকেই আসতে পেরেছে অনেকেই আসতে পারেননি। কী কারণে আসতে পারেননি তা তাঁর জানা নেই। তিনি মনে করেন, তাঁর নেতৃত্ব মানুষ পছন্দ করছে না হয়তো। তিনি বারবার রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছেন, তিনি শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে শহরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে দলীয়ভাবে এবং শহরে দল হেরে যাচ্ছে। তিনি এদিন অকপটে স্বীকার করেন যে, তিনি ব্যর্থ, তাঁকে সরিয়ে যদি যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো সুদিন ফিরে আসবে তৃণমূলের পুরুলিয়া শহরে।  এ বিষয়ে অবশ্য পুরুলিয়া বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে সকলে দেখেছে পুরুলিয়ায় কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ভরাডুবি হয়েছে এবং তা থেকেই জানতে পারা গেছে যে, পুরুলিয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মানুষের সমর্থন নেই। তৃণমূল পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে নির্বাচনে জয় লাভ করে, মানুষ যে তৃণমূলের কাছ থেকে সরে গেছে তা পরিষ্কার প্রমাণ হয়েছে।