মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। বরানগর থানার এফআইআরও দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর এনিয়েই সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, কেন এখনও তন্ময় ভট্টাচার্য গ্রেপ্তার হননি? @WBPolice, অনেক আগেই আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা সাংবাদিক বয়ান দিয়েছেন। তারপরেও কেন গ্রেপ্তার নয়? আমরা রাজনীতি করতে চাই না। না হলে সটান থানায় যেতে পারতাম। পুলিশ কেন এখনও সিপিএমের কমরেডটিকে গ্রেপ্তার করেনি? জামিনের পর না হয় মীনাক্ষীরা ফুলমালা নিয়ে সম্বর্ধনা দিতে যাবে। কিন্তু আগে গ্রেপ্তার করে তরুণীকে ন্যায়বিচার দিন।
কুণালের কটাক্ষ, তরুণী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সিপিএমের মহান কমরেড, সদ্য বরানগরে প্রার্থী হওয়া তন্ময় ভট্টাচার্য। ক’দিন ধরে নাটক করা, জ্ঞান দেওয়া, বাণী ছড়ানো, রাত জাগা সিপিএমের চারাপোনাদের পোস্ট কই? হবে নাকি গ্রেপ্তার চেয়ে মানববন্ধন? বানতলা, ধানতলা, কোচবিহার, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে সুশান্তর খাট হয় এখন তন্ময়; সিপিএম আছে সিপিএমেই।
রবিবার এক মহিলা সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে জানান, সিপিএম নেতা তন্ময় তাঁকে হেনস্থা করেছেন। তিনি লাইভে বলেন, ‘চার বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি কিন্তু এত খারাপ অভিজ্ঞতা আমার কখনও হয়নি। আসলে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট এরাই। এদের চিনে রাখা দরকার।’ যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে ঘটনার নিন্দা করেছে সিপিইএম।
লাইভ ভিডিও করে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে যখন উনি আমার কোলে বসে পড়েন আমি তখনই বলি, এরকম করবেন না। এগুলো আমি পছন্দ করি না। আপনি ইয়ার্কি করেছেন আমি মানছি, কিন্তু এরকম আমার সঙ্গে করবেন না। তাও তিনি আমার কোলে বসে পড়েন। ক্যামেরাটা যদি তখন অন থাকত তাহলে ভালো হত।’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘এই মেয়েটির সঙ্গেও আমি ইয়ার্কি ফাজলামি করেছি। এর আগে একাধিকবার এসেছে একাধিকবার ইয়ার্কি করেছি। একটু খ্যাপাই। বলি- কীরকম পছন্দ? সেদিন তো দেখলাম একজনের সঙ্গে ঘুরতে। সলমনের মতো দেখতে। এরকম অনেক ধরনের কথা আমি সব সময় বলি। আজকেও বলেছি।’