• facebook
  • twitter
Wednesday, 6 November, 2024

মধ্যপ্রদেশে রাম মন্দির চত্বরে নমাজ পাঠের অভিযোগ

রাম মন্দির চত্বরে নমাজ পাঠের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলায় তিন ভাইয়ের রাম মন্দিরে নামাজ পড়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

রাম মন্দির চত্বরে নমাজ পাঠের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলায় তিন ভাইয়ের রাম মন্দিরে নামাজ পড়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সালসালাই থানার কিলোদা গ্রামে অবস্থিত রাম মন্দিরে। মন্দিরের পুরোহিত সালসালাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, তিন ভাই জোর করে মন্দিরে প্রবেশ করে নমাজ পড়া শুরু করেন। ওই তিনজন মন্দির লাগোয়া ব্যাঙ্কে কোনও কাজে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে বের হওয়ার পর তাঁরা দেখেন, নমাজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই রাম মন্দিরে নমাজ পড়েন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মন্দিরের পুরোহিত তাঁদের বাধা ওই তিনজন কোনও কথা শোনেননি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সালসালাই থানা পুরোহিতের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। দোষ স্বীকার করে নেন তাঁরা। তিনজনের কাছ থেকেই মুচলেকা নিয়ে আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় ৭ বছরের সাজার নিদান রয়েছে। সেই কারণে মামলাটি যেদিন আদালতে উঠবে, সেদিন তিনজনকেই হাজির হতে হবে। জামিন বা বিচারের সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাম মন্দিরের পুরোহিত ওমপ্রকাশ শর্মার অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছরের বাবু খান, ৬৫ বছরের রুস্তম খান ও ৮৫ বছরের আকবর খান মন্দিরে আসেন। তিন ভাই মন্দিরের দরজায় রাখা জলের পাত্র থেকে জল নিয়ে হাত-পা ধুয়ে প্রাঙ্গণে বসে নমাজ পড়তে শুরু করেন। তাঁদের বাধা দেওয়ায় হলেও কোনও লাভ হয়নি।

সালসালাই থানার ইনচার্জ জানিয়েছেন, মন্দিরের পাশেই একটি সরকারি ব্যাঙ্ক রয়েছে। ওই তিনজন যখন ব্যাঙ্ক থেকে বের হন, তখন নামাজের সময় হয়ে যায়। তখন তাঁরা মন্দির প্রাঙ্গণেই নমাজ পাঠ করেন। প্রায় ২০ মিনিট মন্দির চত্বরে ছিলেন তাঁরা। পরে পুরোহিত ও এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিবাদে সেখান থেকে চলে যান ওই তিনজন।

থানার ইনচার্জের কথায়, কিলোদার শ্রী রাম মন্দিরের পুরোহিত ও অন্যান্য গ্রামবাসী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনজনকেই থানায় ডাকা হয়। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিন ভাইকে থানা থেকে নোটিস দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।