নিখোঁজ হওয়ার চার মাসের মাথায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জেলাশাসকের বাংলো থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে চার মাস আগেই অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল। কোতওয়ালি পুলিশ শনিবার প্রায় চার মাস পর ওই মহিলার জিম প্রশিক্ষককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত, বিমল সোনি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে জুন মাসে সিভিল লাইনের গ্রীনপার্ক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাঁকে হত্যা করে তাঁর দেহ ভিআইপি রোড ডিএম কমপাউন্ডের অফিসার্স ক্লাবের প্রাঙ্গণে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত বিমল সোনি, কানপুরের রায়পুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি শনিবার পুলিশকে মৃতদেহটি পুঁতে রাখার স্থান সম্পর্কে তথ্য দেন এবং পুলিশ শনিবার মাটি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করে। পূর্বাঞ্চল ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শ্রাবণ কুমার সিং জানিয়েছেন, নিহত মহিলা নিয়মিত অভিযুক্তের জিমে প্রশিক্ষণের জন্য যেতেন।
ডেপুটি কমিশনার সিং বলেন, ‘কোনও একটি বিষয়ে বিমল সোনি ও নিহত মহিলার মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তীব্র তর্কের পর অভিযুক্ত রাগের মাথায় ওই মহিলাকে হত্যা করে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জেলাশাসকের বাংলোতে মৃতদেহটি লুকিয়ে রাখে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত মামলাটি ভিন্নপথে চালিত করার চেষ্টা করলেও, জিজ্ঞাসাবাদের চাপের মুখে সব কিছু স্বীকার করেছে।’
পুলিশের কাছে সোনি জানিয়েছে যে, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং অভিযুক্তের বিয়ে ঠিক হওয়ায় মহিলা অসন্তুষ্ট ছিলেন যা হত্যাকাণ্ডের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সোনি আরও জানায়, ‘হত্যার দিন মহিলা জিমে আসে। এরপর আমরা গাড়ির ভিতরে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।’
তবে কথোপকথনের সময় একটি বিষয় নিয়ে তর্ক শুরু হলে সোনি ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মহিলার গলায় আঘাত করে। সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরে মহিলা অজ্ঞান হয়ে গেলে সোনি তাঁকে হত্যা করে বলে অভিযোগ।