• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শেষ টি-২০ ম্যাচ ভারত ও বাংলাদেশের কাছে মর্যাদার লড়াই

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টি-২০ তৃতীয় ম্যাচটি দু-দলের কাছেই মর্যাদার লড়াই হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে।

অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে আলোচনায় ব্যাস্ত কোচ রবি শাস্ত্রী। (Photo: Surjeet Yadav/IANS)

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টি-২০ তৃতীয় ম্যাচটি দু-দলের কাছেই মর্যাদার লড়াই হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে। রবিবার এই ম্যাচটিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উন্মাদনার পারদ চড়চড় করে বাড়ছে। প্রথম ম্যাচে খুব সহজেই বাংলাদেশ জিতলেও, দিল্লিতে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ভারত জয় তুলে নেওয়ায় ইতিমধ্যেই একই জায়গায় অবস্থান করছে দুই দলই। সেই কারণে তৃতীয় ম্যাচে যে জিতবে তাদের হাতে চলে যাবে সিরিজ। অর্থাৎ এই ম্যাচটা এককথায় বলা যায় ফাইনাল খেলা।

ঘরের মাঠে ভারত জিততে যেমন মরিয়া ঠিক তেমনি আবার বাংলাদেশের খেলােয়াড়রাও চাইবেন ম্যাচটা জিতে নিয়ে তাদের দক্ষতা দেখাতে। তাই বাংলাদেশ সর্বশক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দুই দলেই কিছু পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পরপর দুটি ম্যাচে ভারতের বােলার খলিল আহমেদ যেভাবে রান দিয়েছেন তাতে মনে করা হচ্ছে বাদের তালিকায় তিনি থাকছে। সেই জায়গায় আসতে পারেন শার্দুল ঠাকুর। আবার বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হােসেনের জায়গায় স্পিনার আরাফত সানি খেলতে পারেন।

দিল্লিতে প্রথম ১টি-২০ ম্যাচে আল আমিন ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়েছিলেন। একটা উইকেটও পাননি। রাজকোটে টি-২০ দ্বিতীয় ম্যাচে একটা উইকেটও তার দখলে আসেনি। ৪ ওভার বল করে তিনি ৩২ রান দিয়েছিলেন। তাই ভাবা হচ্ছে বাংলাদেশের কোচ আল আমিনকে বসিয়ে নতুন খেলােয়াড় আনবেন।

নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসােসিয়েশনের মাঠটা বেশ শুকনাে। একজন অভিজ্ঞ স্পিনারকে খেলানাের কথা ভেবেছেন বাংলাদেশের কোচ। কোচ ভােমিঙ্গো বলেছেন, ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন বােলার পরিবর্তন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দলে নেই যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ শামি। যার ফলে অনভিজ্ঞ বােলারদের নিয়ে ভারতীয় দল লড়াই করতে নামছে। সেই সুযােগটা নেওয়ার কথা ভেবেছেন বাংলাদেশের কোচ। হয়তাে সে কারণেই ম্যাচের কৌশল নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বাংলাদেশের কোচ ডােমিঙ্গো মুখ খুলেছেন।

তিনি বলেনছে, খলিল আহমেদ, দীপক চোহার, ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে ভারতীয় বােলিংয়ের যে লাইনআপ করা হয়েছে তা কখনওই বিপক্ষদলকে চাপে ফেলতে পারে না। ভারতীয় বােলিং আক্রমণকে রুখে দেওয়ার মতাে খেলােয়াড় বাংলাদেশে রয়েছে। যদি তারা ঠিক মতাে খেলতে পারেন তাহলে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে না। বলাই যেতে পারে বাংলাদেশ ভারতকে চাপে রেখে ম্যাচ জেতার মতাে জায়গায় রয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে রান আটকে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের দুর্বলতা চোখে পড়েছে। বলতে পারা যায় যারা প্রথমে ব্যাট করছে তাদের কাছে ম্যাচ জেতাটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।

টস একটা ফ্যাক্টর। দিল্লিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ যেভাবে বড় রানের অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছিল সেই রানকে তারা করতে গিয়ে ভারত বিপদের মুখে পড়ে এবং হার স্বীকার করে। আবার রাজকোটে ভারত প্রথম ব্যাট করে সুবিধা আদায় করে নেয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বােলাররা সেই ভাবে নিজেদের প্রকাশ কতে পারেনি। যার ফলে হারতে হয়। তবে ভারতীয় দলকে অবশ্যই সমীহ করে খেলতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ভারতকে কোনও ভাবেই যেন বড় রানের অঙ্কের দিকে পৌঁছে না যায়।

এদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ ভারতীয় লেগস্পিনার যজুভেন্দ্র চাহালের সামনে রেকর্ডের হাতছানি। তিনি যদি নাগপুরে একটি উইকেট নিতে পারে তাহলে এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখাবেন। এর আগে টি-২০ ফরম্যাটে ভারতের মাত্র ২জন ৫০টি উইকেট পেয়েছেন। এরা হলেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যশপ্রীত বুমরা। অশ্বিন নিয়েছেন ৫২টি উইকেট আর বুমরা পেয়েছেন ৫১টি উইকেট। এই মুহুর্তে যজুভেন্দ্র ৪৯টি উইকেট পেয়েছেন। দিল্লিতে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন আর রাজকোটে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান। একজন লেগস্পিনার হিসাবে যজুভেন্দ্র রেকর্ডের দিকে পা বাড়িয়েছেন। .

এদিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক রােহিত শর্মা লেগস্পিনার যজুভেন্দ্রকে প্রশংসা করে বলেন, দীর্ঘদিন বাদে যেভাবে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিলেন এবং যে কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন তাতে স্পষ্ট করে বলা যায় আগামী বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা হওয়াটা কোনও বিচিত্র নয়।

সম্ভাব্য দল : ভারত— রােহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লােকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), শিবম দুবে, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর ও যজুভেন্দ্র চাহাল।

বাংলাদেশ— মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মহ: নঈম, লিটন দাস, সৌম সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হােসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সফিউল ইসলাম, মােসাদ্দেক হােসেন, আমিনুল ইসলাম ও আরাফত সানি।