বিধানসভা ভোটের পর জম্মু-কাশ্মীরে শপথ নিয়েছে নতুন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তারপরেও জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তি থামার লক্ষণ নেই। ফের জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু জল ৪ জনের। মৃতদের মধ্যে দু’জন সেনাকর্মী। বাকি দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। গাড়িটি ১৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছিল।
জঙ্গি হামলার ঘটনায় চার সেনা জওয়ান আহতও হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। গাড়িটি বোটপাথরি থেকে গন্তব্যে যাচ্ছিল। এই বোটপাথরি নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। সেই সময়ই হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় নিহত দুই স্থানীয় বাসিন্দা সেনাবাহিনীতে কুলির কাজ করতেন।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিএটি) বিশেষ ইউনিট এই হামলা চালিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা। দুর্গম বোটপাথরি এলাকায় গাড়িটি পৌঁছলে তা লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় চারজনের।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, উত্তর কাশ্মীরের বোটপাথরি এলাকায় সেনার গাড়ির উপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে কয়েকজন হতাহত ও আহত হয়েছেন। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক এই হামলার ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়। জোরাল ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আরও প্রার্থনা করি যে আহতরা সম্পূর্ণ এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে এক পরিযায়ী শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাটগুন্ড গ্রামে। আহত শ্রমিককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই শ্রমিকের একটি আঙুলে সামান্য আঘাত লেগেছে।
রবিবার গান্ডেরবাল জেলার গাগাঙ্গির এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। একটি বেসরকারি কোম্পানির ক্যাম্পে ঢুকে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ৬ পরিযায়ী শ্রমিক এবং স্থানীয় এক ডাক্তার প্রাণ হারান জঙ্গি হামলায়। আহত হন চারজন। বুধবার পুলিশ হামলায় জড়িত দুই জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে।