• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নদী-ভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সেচদপ্তরের  সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করল প্রদেশ কংগ্রেস

সেচ মন্ত্রীর বক্তব্য এই বঞ্চনা নিয়ে যে রাজনৈতিক দলই হোক তাদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। তাঁর কথায়, 'আসল লড়াইটা তো দিল্লির বিরুদ্ধে করতে হবে।

নদী ভাঙ্গন রোখার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সেচদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করল প্রদেশ কংগ্রেস। শুধু অবস্থানই নয়, এই সমস্যার  স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কি নিজের দলের নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকেও স্মারকলিপি দিলেন প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রকে একসঙ্গে এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এই সমস্যায় ভিটে-মাটি ছাড়া হচ্ছেন।  এর সমাধান এভাবে না হলে এবার ৫০ জন প্রতিনিধি নিয়ে দিল্লি গিয়ে জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সামনে ধরনায় বসবে প্রদেশ কংগ্রেস।  সেখানে থাকবেন ঘর- জমি হারানো মানুষও’।  এই অবস্থান চলাকালীন একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে সেচদপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন।

যদিও সেই সময় সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া দপ্তরে ছিলেন না। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মেদিনীপুর পাঠিয়েছেন। সেখানে মানস ভূঁইয়া সেচদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কন্ট্রোলরুমে বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। মেদিনীপুরে থাকলেও তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ও স্মারকলিপির খবর পেয়ে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে মানস ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ‘২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন চুক্তি হয়েছিল ফারাক্কা ব্যারেজের উপরে ৪০ কিলোমিটার আর নিচে ৮০ কিলোমিটার কেন্দ্র সরকার দেখভাল করবে।

ঠিক ছিল তার ৭৫ শতাংশ দেবে দিল্লি সরকার। সেটা কমতে কমতে ৬০-৪০ অনুপাতের কথা বলে। মুখ্যমন্ত্রী তাতেও রাজি হন। কিন্তু তারপর থেকে কেন্দ্র একটা টাকাও দেয়নি’।  সেচ মন্ত্রীর বক্তব্য এই বঞ্চনা নিয়ে যে রাজনৈতিক দলই হোক তাদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। তাঁর কথায়, ‘আসল লড়াইটা তো দিল্লির বিরুদ্ধে করতে হবে।  যদি বাংলাকে ভালোবাসা নিরেট হয়, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুরকে ভালোবাসা নিরেট হয় তাহলে পতাকা নিয়ে মিছিল করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জন করুক’।