পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ভারতে থাকার সময় দীর্ঘায়িত করার জন্য জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভোটার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছিল। তারা কোন বৈধ পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে। এসপি দেশমুখ বলেছেন, ‘২১ জন অভিযুক্তের মধ্যে নয়জনের কাছে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড পাওয়া গেছে, আর একজনের কাছে জাল ভোটার আইডি কার্ড ছিল। অভিযুক্তরা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং দৈনিক শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিল।’ এদের সূত্র ধরেই অবৈধ অনুপ্রবেশের বড়সড় চক্রের হদিশ মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন- আজমুল সুরতখান ওরফে হাসিফ খান, হোসেন মুখিদ শেখ, মহম্মদ আকবর আজিজ, আকবর সরদার, সইফুল আলিমিয়া শেখ, তরিকুল আতিয়ার শেখ, মহম্মদ উমর ফারুক ওরফে বাবু বখতিয়ার শেখ, শাহীন শাহজাহান শেখ, মহম্মদ হোসেন শেখ, রউফ আকবর। ইব্রাহিম কাজল শেখ, ফরিদ আব্বাস শাইখ, মহম্মদ সাদ্দাম আবদুল সাখাওয়াতি, মহম্মদ আবদুল হাবিব রেহমান সরদার, আলীমিয়া তোহকিল শেখ, মহম্মদ ইসরায়েল ফকির, ফিরোজা মুত্তাকিন শেখ, লিপিয়া হাসমুখ মুল্লা, সালমা মালিক রওশন মালিক, হেনা মুল্লা জুলফিকার মোল্লা, কাশ্মীর দীপু, কাশ্মীর দীপক, সোনালীশ আলী, ইয়েনুন্নার শাহদাতা মুল্লা। এঁরা শিরুরের কারেগাঁওতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটিএস-এর দাবি, অভিযুক্তরা ছয় মাস থেকে এক বছর ধরে এলাকায় অবস্থান করছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নাগরিকদের চোরাপথে অনুপ্রবেশের ঘটনায় দীর্ঘ দিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতকে।