• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্যুতে ১২টি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত চাইলেন রাজ্যপাল

রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা। এবার রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য পুলিশ ফোর্সে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

রাজ ভবন মিডিয়া সেলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি বিবৃতি জারি করে ১২ টি নির্দিষ্ট বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেগুলি হল, ২০২১ সাল থেকে কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন, তাঁদের বেতন দিতে মোট কত টাকা খরচ হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি অনুমোদন রয়েছে কি না, কোন কোন সরকারি অর্ডারের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছিল, কোন নিয়মে তাঁদের নিয়োগ করা হয়, কাজে যোগদানের আগে কোন নিয়মে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, কোন কোন বিভাগের কাজের জন্য তাঁদের মোতায়েন করা হয়, কর্মসংস্থানের সময়কাল, রাজ্য সরকারি দপ্তরগুলিতে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের কতগুলি পদ শূন্য রয়েছে, ওপেন রিক্রুটমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে কতজন সরকারি কর্মচারীকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং স্থায়ী কর্মীদের পদ এখনও কেন শূন্য রয়েছে ? এই ১২টি বিষয়ে মমতার মতামত চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পর থেকে রাজ্যে সিভির ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিবৃতিতে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ত্রুটির উল্লেখ করা হয়েছে। যাচাই না করে নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তাঁর দাবি এই নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ারদের অপর্যাপ্ত ট্রেনিং, দায়িত্ববোধের অভাব, অপব্যবহার করার প্রবণতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সিভিকদের কাজকর্ম বেশিরভাগ সময়ই রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে প্রায়ই তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্যের সমালোচনায় সরব হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গত সেপ্টেম্বরে রাজ ভবনের মিডিয়া সেলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। এই বিবৃতিতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। আরজি কর মামলাটি সিবিআই হাতে নেওয়ার আগে পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মৃতদেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন রাজ্যপাল।