• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 October, 2024

কেরল ম্যাচেও বাংলা দলে মহম্মদ শামিকে পাওয়া যাবে না

মহম্মদ শামি ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিয়ে আবার ভারতীয় দলে ফিরতে চান বলে আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।ই বিশ্বাস নিয়েও কলকাতায় এসেছিলেন।

মহম্মদ শামি ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিয়ে আবার ভারতীয় দলে ফিরতে চান বলে আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই কারণেই মহম্মদ শামি বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে খেলবেন এই বিশ্বাস নিয়েও কলকাতায় এসেছিলেন। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনাও করেছিলেন। এমনকি, হালকা চালে নেটে বল করেছিলেন। কিন্তু শামির বল দেখে কোচ কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেননি পুরোপুরি তিনি ফিট হয়ে গিয়েছেন। তবে, বাংলা দলে তাঁকে রাখা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দলে রাখা হয়নি। সেই সময় তিনি আবার বেঙ্গালুরু ক্রিকেট জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে নিজেকে রিহ্যাবে ব্যস্ত রেখেছিলেন। এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচেও বিহারের বিরুদ্ধে তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়নি। কিন্তু সামনেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফর। সেই সময় ভারতীয় দলে মহম্মদ শামিকে অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই ভাবনাতে নির্বাচকরাও শামির উপরে চোখ রেখেছেন। আগামী শনিবার থেকে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা খেলবে কেরলের বিরুদ্ধে। নিঃসন্দেহে কেরল শক্তিশালী দল। ভারতের টেস্ট খেলোয়াড়রাও কেরল দলে থাকায় অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে বাংলাকে। যেহেতে ইডেন উদ্যানে খেলা হবে না, সেক্ষেত্রে কল্যাণী ক্রিকেট একাডেমির মাঠে বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাসে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকদিন আগেই কল্যাণীতে বিহারের বিরুদ্ধে বাংলা খেলতে পারেনি মাঠ তৈরি করতে পারেনি বলে। প্রথম দিন মুষলধারে না হলেও ভালো বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই বৃষ্টির সময় উইকেট কভার করে রাখলেও আউটফিল্ড বৃষ্টিতে ভিজে যায়। খেলার দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি না হলেও সেইভাবে রোদ ওঠেনি। কিন্তু মাঠ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। সিএবি’র কর্মকর্তাদের ব্যর্থতায় তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়নি। তাহলে আধুনিক চিন্তাধারায় যখন সিএবি’র কর্মকর্তারা বড় বড় কথা বলেন, তখন ভাবতে হয় বাংলার এই অবস্থার জন্য কারা দায়ী হলেন? বাংলা যদি এই খেলায় বিহারকে হারিয়ে দিতে পারত এবং বোনাস পয়েন্ট নিয়ে সাত পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারত, তাহলে রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্যায়ের খেলায় অনেকটাই সরল হয়ে যেত। প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে খেলা ড্র করে বাংলার ঘরে এসেছিল ৩ পয়েন্ট। আর বিহার ও বাংলার খেলা না হওয়ায় দুই দলের কাছে মাত্র ১ পয়েন্ট করে এল। এবারে হোম ম্যাচে বাংলা যদি বাড়তি সুবিধা নিয়ে কেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তবে কিছুটা সুবিধা হবে। এখনও পর্যন্ত জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে মহম্মদ শামির ফিটনেস সার্টিফিকেট না আসায় বাংলা দলে তাঁর নাম রাখা হয়নি কেরলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
অন্যদিকে বাংলা দলে দু’টি পরিবর্তন হতে পারে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ‘এ’ দলে খেলার জন্য অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অভিষেক পোড়েল এবং মুকেশ কুমার খেলতে পারবেন না। এমনকি আগামী কয়েকটা ম্যাচেও তাঁদের পাওয়া যাবে না। তবে কেরল ম্যাচের আগে বাংলা দলে ফিরতে পারেন পেসার ঈশান পোড়েল ও শাকির হাবিব গান্ধী। এতদিন এই দুই ক্রিকেটার চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। মুকেশ ইতিমধ্যেই মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। অনুশীলন করছেন ঈশানও। উইকেটরক্ষক ঈশান পোড়েলের জায়গায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে গান্ধীর। গত মরশুমে বাংলার হয়ে তিনি বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন। হাবিব গান্ধীকে সাধারণত ওপেনার হিসেবে দেখা গিয়েছে। ফলে ঈশ্বরণ ভারতীয় দলে চলে যাওয়ায় ওপেন করতে আসতে পারেন সুদীপ চ্যাটার্জি।