১২০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে পুরী–সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আগের ঝড়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে রেল। পাশাপাশি ঝড়ে বিমানবন্দর ও বিমানের ক্ষতি এড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে।
পূর্ব রেলের তরফে এদিন কয়েকটি জায়গায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ওভারহেট তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘শিয়ালদহ ডিভিশনের যেসব অংশ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে (যেমন নামখানা, কাকদ্বীপ) সেই সব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করার জন্য আধিকারিক নিয়োগ করা রয়েছে। মেডিক্যাল টিম এবং ইঞ্জিনিয়াররা তৈরি আছে। যাতে কোনও সমস্যা হলে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। আমরা চাই কোনওভাবেই যেন ট্রেন চলাচলের উপর প্রভাব না পড়ে।’
রেলের পাশাপাশি এদিন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফেও ঝড় মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে বৈঠকেও বসেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে আমফান, ফনি, আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ট্রলি উল্টে গিয়েও হয়েছিল ক্ষতি। দানা আছড়ে পড়ার আগে বিমানবন্দরে বিমানগুলিকে বেঁধে রাখার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ট্রলিও বেঁধে রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢোকা এবং বেরোনোর গেটে বালির বস্তা দিয়ে ঝড় মোকাবিলা করতে পারে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পরিস্থিতি বুঝে আরও কিছু পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের..