• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৬৫ শহরে ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বাস, দূষণ কমাতে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের

ভারতের যে সমস্ত শহরের ১০ লক্ষের বেশি, সেই সমস্ত শহরে ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।

দেশে দূষণ কমাতে বিরাট পরিকল্পনা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের যে সমস্ত শহরের জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি, সেই সমস্ত শহরে ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ভারত আরবান মেগাবাস মিশন, যার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা।

আরবান মোবিলিটি মিশনে ইলেকট্রিক বাস এবং বাস স্টপ, টার্মিনাল এবং ডিপো সহ সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হবে। নতুন বৈদ্যুতিক বাস চালু ছাড়াও, এই মিশনের আওতায় হাঁটা ও সাইকেল চালানোর উপযোগী ৫০০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

২০২৫ সালে এই মিশনের কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রের লক্ষ্য, ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষের মধ্যেই ভারতের টার্গেট আরবান মেগাবাস মিশনের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অফিসে যাতায়াতের জন্য নিজের গাড়ি ব্যবহার করে। কেন্দ্র চাইছে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সংখ্যা বাড়াতে। সেক্ষেত্রে দেশবাসী তাঁদের ব্যক্তিগত যানবাহনের পরিবর্তে এটিকে অগ্রাধিকার দেবে।

কেন্দ্রের টার্গেট, ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার শহরগুলিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ধরনের শহরগুলির ক্ষেত্রে মোটরচালিত ভ্রমণের ৬০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে মধ্যে মোটরচালিত ভ্রমণের ৮০ শতাংশ দূষণহীন করে তোলা। ২০২৩ সালে মধ্যে নন-মোটরেবেল আরবান ট্রিপের ৫০ শতাংশ সাইকেল এবং ওয়াকিং ট্রিপ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে সাইকেল চালানোর বিষয়টিকে গুরুতে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সাইকেল চালানোর উপযোগী ট্র্যাক নির্মাণ এবং সাইকেল ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হবে এই মিশনের আওতায়। আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতীয় শহরগুলিতে ৫৬ শতাংশেরও বেশি ভ্রমণের দৈর্ঘ্য ৫ কিলোমিটারের কম। এই ট্রিপগুলিকে নন-মোটরেবেল করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মিশনের লক্ষ্য গণপরিবহনকে পছন্দের পরিবহনের মাধ্যম হিসাবে গড়ে তোলা এবং হাঁটা ও সাইকেল চালানোকে উত্সাহিত করা। মিশনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য হল – বায়ু দূষণ কমানো, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা।