শরতের এই সময়টায়, সংক্রমণ এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি বেশি থাকে। আবহাওয়া ক্রমশ শীতল হতে থাকে, ফলে এই সময়েই বৃদ্ধি পায় কিছু ভাইরাস। এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাপমাত্রা হ্রাস আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দিতে পারে, যা ঠান্ডা লাগা এবং ফ্লুর মতো সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
উপরন্তু, ভাইরাসগুলি শীতল, শুষ্ক বাতাসে বৃদ্ধি পায়। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কম থাকার কারণে, এগুলি বাতাসে বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।
ঋতু পরিবর্তন এই ঝুঁকিগুলি নিয়ে আসে জেনেই, আমাদের প্রতিরোধমূলক কৌশল রপ্ত করতে হবে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য হাইড্রেটেড থাকা এবং সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন।
সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া, সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার অন্যতম সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়। প্রচুর পরিমাণে জল পান করা, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে দিতে সাহায্য করবে।
ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজের মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন। ভিটামিন সি, দস্তা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
বিশেষত শরৎ এবং শীতের মাসগুলিতে যখন ফ্লু–এর মতো রোের প্রকোপ বাড়তে থাকে, তখন টিকা একটি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। এটি ফ্লু ধরা পড়ার বা সংক্রামিত হলে গুরুতর উপসর্গ হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখা এসময় খবিশেষ ভাবে জরুরি। লেয়ারিং করে জামাকাপড় পরা এবং গলার সুরক্ষার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করা উচিত। ভোর বেলায় এবং সন্ধ্যা নামার মুখে বিশেষভাবে সতর্ক হবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এসময় কার্যকর হতে পারে। তেমনই একটি উপকারী ফল লেবু।