চা ফ্যাক্টরিতে চুরি

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

দার্জিলিং সাংমা টি ফ্যাক্টরি থেকে ২০ কেজি চা চুরি যাওয়ার ঘটনার বিচার করে শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯১৬ তারিখে এক রায় দেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বি কে ঘােষ।

উল্লেখ্য, চা ফ্যাক্টরি থেকে চা চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চা বাগানের কর্মী ও অন্য এক ব্যক্তি যুক্ত ছিল। তারা দুজনে চা বাগানের ফ্যাক্টরি থেকে আধমন চা চুরি করে বলে অভিযােগ দায়ের করা হয়। দুই ব্যক্তিকেই পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চায়ের বস্তা চা বাগানের ফ্যাক্টরির বলে চিহ্নিত করেন বাগানের ম্যানেজার সি ই ব্রাউন।

ধৃতরা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জে এন ব্যানার্জির আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করে। কিন্তু পরবর্তীকালে ধৃতদের মধ্যে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বি কে ঘােষের আদালতে নির্দোষ বলে আবেদন করে। তার আবেদনে জানায় পুলিশ চাপ দিয়ে তাকে দিয়ে অপরাধের স্বীকারােক্তি নিয়েছে কিন্তু বিচারপর্বে দুই ব্যক্তিই দোষী সাব্যস্ত হয় এবং চা চুরি বন্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন পুলিশ প্রশাসনকে।


অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের চার মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন যথাক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭ এবং ৩৮০ ধারায়। দ্বিতীয় ব্যক্তির অযথা বিচারব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করার জন্য আরও দু’মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বি কে ঘােষ তাঁর রায়ে স্বীকারােক্তি প্রত্যাহারের ঘটনাটিকে অপরাধীর পরবর্তী ও বিভ্রান্তকর সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।